খড়গপুর: গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করল বেলদা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা হল জোসেফ সিং, মঙ্গল সিং, শিশির সিং ও অঞ্জয় মান্ডি। এদের প্রত্যেকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের বেলদা থানার মান্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবচক গ্রামে। ধৃতদের সোমবার দাঁতন এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। বিচারকের নির্দেশে ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হাজত হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ মে বেলদা থানার কেশবচক গ্রামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়ে যান। পরে ১৬ মে পাশে ত্রিকালপুর এলাকায় রাস্তা থেকে প্রায় এক কিমি দূরে একটি মাঠ থেকে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতার গলায় শাড়ির একটি অংশ জড়ানো ছিল। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। যদিও পরে মৃতার স্বামী থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নেমে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানতে পারে, ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়। শ্বাসরোধ করে গৃহবধূকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তারসঙ্গে গৃহবধূর মৃতদেহের উপর অ্যাসিড ঢালা হয়েছিল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে। আর শ্বাসরোধ করার আগে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে আটক করে অঞ্জয় মান্ডিকে। তাকে জেরা করে এক মহিলা-সহ আরও তিনজনের নাম পায়। পুলিশ পরে হীরা মুর্মু নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। পরে রবিবার বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পিছনে পরকীয়া সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কর্মসূত্রে মৃতার স্বামী বাইরে থাকতেন। সেই সুযোগে জোসেফের সঙ্গে ওই গৃহবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। গৃহবধূ অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে যান।
অভিযোগ, সেটি মেনে নিতে না পেরে জোসেফ প্রেমিকা গৃহবধূকে নিজের বাড়িতে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। তার আগে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। আর সেই মৃতদেহ লোপাট করার কাজে এক মহিলা-সহ বাকি তিনজন সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, মৃতদেহ লোপাট করার পর মৃতার গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।
Belda: গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৪
