SBN Digital: পুজোর মুখে নিষিদ্ধ মাদক ব্রাউন সুগার উদ্ধার করতে বিশেষ অভিযান মালদহ জেলা পুলিশের। জেলার কালিয়াচক, ইংলিশবাজার এবং বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় নাকা চেকিংয়ের পাশাপাশি সন্দেহজনক ব্যক্তি ও সীমান্তবর্তী বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালানো শুরু হয়েছে। অভিযানের শুরুতেই পৃথক পৃথক চারটি ঘটনায় প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে মোট আটজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। কালিয়াচক ও ইংলিশবাজার থানা এবং গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ রবিবার রাতভর বিভিন্ন এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিধান চালায় বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কালিয়াচকে একটি অভিযানে প্রায় কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুই মাদক পাচারকারী। ধৃতদের নাম ওয়াহেদুর রহমান ও এনজামুল হক। তারা কালিয়াচকের ছারকাটোলা এলাকায় একটি টোটো নিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল।
ওই সময় গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ তাদের পাকড়াও করে। তল্লাশি চালিয়ে টোটো থেকে ১৮টি প্যাকেট উদ্ধার হয়। সেই প্যাকেট থেকে মোট ১ কেজি ৭২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ধৃতরা বিপুল পরিমাণ মাদক কোথায় পেল? কোথায় পাচার করতে যাচ্ছিল এই সমস্ত নানান দিক খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, ইংলিশবাজার থানার পুলিশ ৮১৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই পাচারকারীকে। ধৃতরা হল ফিরোজ শেখ ও মাহিবুর শেখ। এদের বাড়ি কালিয়াচক থানার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার নামোপাড়ায়।
ধৃতরা বিহারের আরারিয়ার দুই যুবকের কাছে এই মাদক সরবরাহ করতে যাচ্ছিল। মাঝপথে তারা পুলিশের জালে পড়ে। এদিকে, কালিয়াচক থানার পুলিশ আরও এক অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে। সুজাপুর হাতিমারি মাঠের বিপরীতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সন্দেহজনক দু’জনকে আটক করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ১০০ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে জলপাইগুড়ির ভক্তিনগরের এক মহিলাও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল রিন্টু শেখ। বাড়ি কালিয়াচকের শাহবাজপুরের সাদরিটোলা। ধৃত মহিলার নাম ফুলন সরকার, বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের জনতাপাড়া। গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ আর এক পৃথক অভিযানে ৫১৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করে এবং দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল জেনারুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান। বাড়ি শাহবাজপুরে। মালদহ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পুজোর মধ্যে ব্রাউন সুগার ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে। অনেকেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়তে পারেন।
ওই পুলিশ কর্তা জানান, সারা বছর অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এবার পুজোর মুখে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এক রাতেই দু’কোটির ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। আটজন পাচারকারী ধরা পড়েছে।