নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেয়েকে বার বার ফোন করলেও, ফোন তুলছিলেন না। বাবা-মায়ের মনে ক্রমশ সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। শেষেমেষ মেসের ঘরের দরজা খুলে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেলেন বাড়ির মালিক। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া কেরানিচটি এলাকার একটি মেসে। মৃত ছাত্রীর নাম স্নেহা আদক। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার অন্তর্গত বারহাট গ্রামে। স্নেহা এম.এ প্রথম বর্ষের ভূগোলের ছাত্রী ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহর লাগোয়া ভাদুতলা এলাকায় একটি বেসরকারি কলেজের এম.এ (M.A) প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিল স্নেহা। ওই ছাত্রী কেরানিচটি এলাকায় মেসে থেকে পড়াশোনা করতো। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকবার ফোন করলেও পরিবারের সদস্যদের কারো ফোন রিসিভ করেননি স্নেহা। এরপরেই তাঁদের মনে সন্দেহ জাগে।
শেষমেষ মেস মালিককে জানায় ওই ছাত্রীর পরিবার। তখনই মেস কর্তৃপক্ষ খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে ওই ছাত্রী তার নিজের রুমে রয়েছে। তারপর দরজা খুলে দেখতে পায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে ওই ছাত্রী। খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে কৌতুহলী স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। পরবর্তীতে এই খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। তার পরিবারের লোকেরা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে রাতেই পৌঁছেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
MEDINIPUR NEWS: পরিবারের ফোন ধরেননি, মেস থেকে M.A পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
