Top NewsSabang News: ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে পৌঁছলেই বাবা-মায়ের কাছে যাবে SMS, না এলেও যাবে,...

Sabang News: ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে পৌঁছলেই বাবা-মায়ের কাছে যাবে SMS, না এলেও যাবে, এই মেশিনেই কামাল সবংয়ের এই স্কুলে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া পা রাখলেই অভিভাবকের মোবাইলে পৌঁছে যাবে এসএমএস৷ স্কুল কামাই রুখতে অভিনব উদ্যোগ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের প্রাচীন সরকারি স্কুল দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদনে। ইতিমধ্যে এই স্কুলে বসানো হয়েছে ‘ফেস রেকগনিশন অ্যাটেনড্যান্স সিস্টেম’। পড়ুয়ারা ওই মেশিনের সামনে দাঁড়ালেই হাজিরা নথিভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, তারা কখন ঢুকছে বা বেরোচ্ছে—স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সেই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে অভিভাবকদের মোবাইলেও। দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদনের প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধান জানান, “বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বের হলেও স্কুলে না গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যত্র যাওয়ার সমস্যা শুধু আমাদের স্কুলের নয় অন্যান্য বিদ্যালয়েও রয়েছে৷ এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের যেমন দায়িত্ব রয়েছে ঠিক তেমনই অভিভাবকদের দায়িত্ব অস্বীকার করা যায় না৷ তাই  যন্ত্রসুরক্ষা চালু হওয়ায় এই সমস্যা অনেকটাই মিটেছে। দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদন হাইস্কুলে বর্তমানে ছাত্রসংখ্যা ১২০০’র উপরে৷ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রদের স্কুল কামাই৷ বিশেষ করে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়ছে৷ স্কুলে আসার নাম করে বাড়ি থেকে বের হলেও স্কুলে না এসে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা৷ আবার স্কুল ছুটির সময়ে বাড়ি ফিরছে৷ ফলে অভিভাবকরাও কিছু বুঝতে পারছেন না৷ স্কুল কর্তপক্ষের সন্দেহ, স্কুল কামাই করে বসে সময় কাটাচ্ছে বা ফাঁকা জায়গায় বসে মোবাইল গেমে আসক্ত হচ্ছে৷ তাই কোনও উপায়ান্তর না থাকায় যন্ত্রসুরক্ষা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফেস রেকগনিশন অ্যাটেনড্যান্স সিস্টেম’। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর পর বাবা-মায়েরা স্বাভাবিক ভাবেই একটু চিন্তায় থাকেন। ছেলে বা মেয়ে স্কুলে পৌঁছল কি না, তা নিয়ে। এখন আর সেই চিন্তা থাকবে না। ছাত্রীরা স্কুলে ঢুকলেই তাদের বাবা-মায়েদের ফোনে মেসেজ চলে যাবে। সময়ের আগে কেউ যদি স্কুল থেকে বেরোনোর চেষ্টা করে, সেটাও হবে না এখন আর।’’ ফলে সন্তানকে নিয়ে সচেতন থাকতে পারবেন অভিভাবকরা৷