Top Newsসন্তানদের সামনে মাকে কুপিয়ে খুন বাবার

সন্তানদের সামনে মাকে কুপিয়ে খুন বাবার

SBN DIGITAL: মাকে খুন করল বাবা। দাঁড়িয়ে দেখল তিন নাবালক সন্তান। তাদের সামনে কাটা পাঁঠার মতো ছটফট করছে মা। একবার দরজা ধরে দাঁড়াতে চেষ্টা করেও ধপ করে পড়ে গেল শরীরটা। কাঠের দরজা রক্তে লাল। রক্তে ভেসে যাচ্ছে সাদামাটা বাড়ির মেঝেও। সন্তানরা চিৎকার করছে। প্রতিবেশীরা যখন আসে তখন সব শেষ। সুতির আহিরণে স্ত্রী রেশমি বিবিকে কুপিয়ে খুন করে ফেরার স্বামী মসিবুল শেখ।টানাটানির সংসারে আয় বাড়াতে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিল মসিবুল। কিন্তু বাড়িতে টাকা পাঠাত না। স্ত্রী বিড়ি বেঁধে তিন সন্তানকে নিয়ে সংসারের বোঝা টানতে পারছিল না। তাই বারবার ফোনে ওড়িশায় থাকা স্বামীকে সংসারের অসুবিধার কথা জানিয়ে টাকা টাকা চাইত। যা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর ঝামেলা চরমে ওঠায় চারমাস স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগই বন্ধ করে দেয় মসিবুল শেখ। রবিবার রাতে ওড়িশা থেকে বাড়ি ফেরে সে। রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। আর সোমবার সাত সকালে তিন বাচ্চার সামনে হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে পলাতক মসিবুল। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সুতি থানার আহিরণ মাঠপাড়ায়। নিহত ওই গৃহবধূ রেশমি বিবির বয়স ২৩। তার বড় সন্তান বছর সাতের সাকিরুল শেখ জানিয়েছে, “বাবা ওড়িশার কটকে কাজ করত। সংসারের অসুবিধার কথা জানিয়ে টাকা টাকা চাইত। যা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর ঝামেলা চরমে ওঠায় চারমাস স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগই বন্ধ করে দেয় মসিবুল শেখ। রবিবার রাতে ওড়িশা থেকে বাড়ি ফেরে সে। রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। আর সোমবার সাত সকালে তিন বাচ্চার সামনে হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে পলাতক মসিবুল। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সুতি থানার আহিরণ মাঠপাড়ায়। নিহত ওই গৃহবধূ রেশমি বিবির বয়স ২৩। তার বড় সন্তান বছর সাতের সাকিরুল শেখ জানিয়েছে, “বাবা ওড়িশার কটকে কাজ করত। মায়ের সঙ্গে ফোনে প্রায়ই ঝগড়ঝাটি হত। তারপর বেশ কিছুদিন যোগাযোগও করেনি। রবিবার অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছিল। তারপর প্রায় সারারাত মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়। মাকে মারধরও করে বাবা। সকালে আমাদের চোখের সামনেই মাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। চিৎকার করলে আমাদেরও মেরে ফেলার হুমকি দেয় বাবা। তারপর বাড়ি ছেড়ে দৌড়ে বেরিয়ে যায়। মায়ের রক্তে ভিজেছে বিছানা। মেঝে। আমাদের সামনে মা মরে গেল।” ছেলের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশও। স্থানীয়দের কাছেও খোঁজখবর করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তর খোঁজ মেলেনি। মৃত রেশমি বিবির দিদি নুরবানু বিবি জানিয়েছেন, গত তিন মাস থেকে ওদের ঝগড়াঝাটি চলছিল ফোনেই। সেই কারণেই বাড়িও আসেনি মসিবুল। ভিন রাজ্য থেকে টাকা পয়সা পাঠাত না সে। বিড়ি বেঁধে তিন সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছিল রেশমি। সকাল বেলায় বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যাই আমরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি খুন করা হয়েছে আমার বোনকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে আহিরন ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চলছে। ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রভাব পড়েছে সন্তানদের উপরও। তারা একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। আত্মীয়দের কাছে তাদের রাখা হলেও কান্না থামছেই না।