পারিবারিক অশান্তির জেরে ৬ মাসের পুত্রসন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন মায়ের

SBN Digital: পারিবারিক অশান্তির জেরে ৬ মাসের পুত্রসন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহ পাশের বাড়ির নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণী থানার সগুনা অঞ্চলের তেলিগাছা এলাকায়। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিশুটির মা রূপা ঘোষকে। শনিবার তাকে কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। আচমকাই ছেলে চুরি হয়ে গিয়েছে বলে চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন রূপা। তা শুনে বাড়ির লোকজন হন্তদন্ত হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে সরেজমিনে তদন্ত করে। শিশুটির মায়ের কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দফায় দফায় জেরার মুখে ভেঙে পড়ে রূপা ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। জানায় যে সে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহ পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে এসেছে। পুলিশ গিয়ে ওই নির্মীয়মাণ ট্যাঙ্ক থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত মা রূপা ঘোষকে। ঘটনায় হতবাক রূপার বাড়ির সদস্যরা। কী কারণে সে একরত্তি শিশুটিকে খুন করল, তা নিয়ে অন্ধকারে তাঁরা। রূপার স্বামী সোমনাথ ঘোষ পেশায় জলের ব্যবসায়ী। ৩ বছর আগে তাঁর সঙ্গে রূপার বিয়ে হয়। এটি সোমনাথের দ্বিতীয় বিয়ে। তিনি জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েকে এখানে রাখবেন না-এই অভিযোগে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত দুজনের মধ্যে। তবে রূপা যে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। স্ত্রীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই দাবি পরিবারের অন্য সদস্য ও প্রতিবেশীদের।