কলকাতানবান্ন অভিযান ঘিরে রাজপথে ধুন্ধুমার, পার্কস্ট্রিটে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা! পুলিশের লাঠিচার্জ

নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজপথে ধুন্ধুমার, পার্কস্ট্রিটে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা! পুলিশের লাঠিচার্জ

SBN: আরজি কর কাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সাঁতরাগাছি। অভিযান রুখতে অনেক আগে থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে উত্তপ্ত হয়ে উঠে নবান্ন চত্বর থেকে সাঁতরাগাছি। প্রতিবাদীরা সেই ব্যারিকেড সরাতেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি। প্রতিবাদীদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। রণক্ষেত্রের আকার নেয় গোটা এলাকা।
আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে অভয়ার মা-বাবার ডাকে নবান্ন চলো অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল পার্কস্ট্রিট থেকে হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি থেকে নবান্ন চত্বর। নবান্নে যাতে মাছি গলতে না পারে, তার জন্য সাঁতরাগাছি এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বেলেপোলেও আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। মিছিল রুখতে দু’ মানুষ সমান উঁচু ব্যারিকেড বসানো হয়। মিছিলে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, শংকর ঘোষ সহ বিজেপির একাধিক বিধায়ক ও নেতৃত্ব। এদিন ধর্মতলা থেকে মিছিল শুরু হয়। নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় পার্কস্ট্রিট থেকে হাওড়া ময়দান। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পার্কস্ট্রিট চত্বর। বাধা পেয়ে রাস্তাতেই অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালরা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। রানি রাসমণি রোডে মিছিল আটকায় পুলিশ। মিছিলের অভিমুখ ঘুরিয়ে জওহরলাল নেহেরু রোড দিয়ে এগিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারীরা। আন্দোলনকারীদের আটকাতে পার্কস্ট্রিটে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁর সঙ্গীদের আঘাত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন বিধায়করা। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে। ডোরিনা ক্রসিংয়েও উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে, সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। ইট দিয়ে আঘাত করে সাঁতরাগাছির পুলিশি ব্যারিকেডের ভাঙার চেষ্টা করছেন আন্দোলনকারীরা। ‘দফা একা, দাবি এক – মমতার পদত্যাগ’, এই স্লোগান দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল, প্ল্যাকার্ড সব ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে লাঠিচার্জ করে। নিমেষে রণক্ষেত্রের আকার নেয় সাঁতরাগাছি এলাকা। এদিনের লাঠিচার্জে শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে খবর।