SBN Digital: ১৯০৮ সালে আজকের দিনেই ফাঁসির মঞ্চে শহিদ হন বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। এই দিনটিকে আত্মবলিদান দিবস হিসেবে পালন করা হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়৷ কেশপুর ব্লকের হবিবপুরের মোহবনী গ্রামে ক্ষুদিরাম বসুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। সেখানে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে সম্মান জানানো হয়৷ উপস্থিত ছিলেন পিংলা বিধানসভার বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি।
১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হবিবপুরের মোহবনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু৷ কিশোর বয়স থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে,১৮ বছর বয়সে তাঁর প্রথম বিপ্লবী অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল এবং ফাঁসি-কাঠে ওঠেন তিনি। ১৯০৮ সালে ২৯ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের মুজফ্ফরপুরের ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি এবং বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকী।
কিন্তু, সেদিন প্রিঙ্গল কেনেডি নামে এক ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের স্ত্রী এবং মেয়ের গাড়ির সঙ্গে কিংসফোর্ডের গাড়িকে গুলিয়ে ফেলেন তাঁরা। ফলে কেনেডির স্ত্রী এবং মেয়ের গাড়িতে বোমা মারেন ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকী। যে ঘটনায় প্রিঙ্গল কেনেডির মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর স্ত্রীও মারা যান। এই ঘটনার পর ক্ষুদিরাম বসু ২৫ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু,একটি জায়গায় জলের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হন তিনি।
তাঁকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়৷ কিন্তু, সদ্য কৈশোর পেরনো ক্ষুদিরাম পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যান। তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করে ব্রিটিশ পুলিশ৷ এর পর বিচারে ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসির সাজা শোনায় করে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থা৷ ১১ অগস্ট তাঁকে ফাঁসি কাঠে ঝোলানো হয়। তাই আজকের এই দিনটিকে আত্মবলিদান দিবস হিসেবে পালন করা হয় কেশপুরে। ট্রেনে করে কলকাতা ফেরার সময় তৎকালীন ব্রিটিশ পুলিশের একজন সব-ইন্সপেক্টর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ধরা পড়ে যান প্রফুল্ল চাকী ৷ তবে, গ্রেফতারীর আগে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি৷ এ দিন ক্ষুদিরাম বসুর আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেন পিংলা বিধানসভার বিধায়ক অজিত মাইতি।
West Medinipur: আত্মবলিদান দিবসে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য বিধায়ক অজিত মাইতির
