Top NewsSabang News: সবংয়ে নার্সিংহোম তৈরির কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ,কাঠগড়ায় শাসক দল

Sabang News: সবংয়ে নার্সিংহোম তৈরির কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ,কাঠগড়ায় শাসক দল

SBN Digital: ফের তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। এবার নার্সিংহোম তৈরির কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল সবং ব্লক তৃণমূলের INTTUC-র ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নম্বর দেভোগ অঞ্চলের তেমাথানি লুটুনিয়া এলাকার বাসিন্দা দেবজ্যোতি দাস। এবং সেই লিখিত অভিযোগে রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়ার সহ INTTUC-র বিপুল মাইতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও বিপুল মাইতি সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দেবজ্যোতি দাস জানান,২০০৩ সালে তেমাথানি বাজার সংলগ্ন রাইস মিলের পিছনে ৭ ডিসমেল জায়গা কিনেন। ২০১৫ সালে ক্রয় করা জায়গার উপর একটি বাড়ি বানান। তারপর ওখানে ভাড়াও দিতে শুরু করেন। তেমাথানিতে Hardward ব্যবসা মন্দা চলায় একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে বাড়িটি ভাড়া দেয়। ২০২৩ সালে চুক্তি মত ওই বাড়িতে নার্সিংহোম করার জন্য কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ তৃণমূলের INTTCU-র সভাপতি বিপুল মাইতি নার্সিংহোমের কাজ চলাকালীন হুমকি দেয় কাজ করা যাবে না। এবং মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন। তারপরে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর ফের চালু করতে গেলে আবারো হুমকি দেওয়া হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে। ঘটনার পর দেবজ্যোতি দাস ও তাঁর বাবা-মা বিধায়ক তথা মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়ার কাছে একাধিকবার দেখা করতে যান। কিন্তু মন্ত্রী দেবজ্যোতির পরিবারের কথায় কোন কর্ণপাত করেনি। উপরন্তু তাদেরকে কটুক্তি করে বলে অভিযোগ। এমনত অবস্থায় অসুস্থ বাবা-মা, ছেলে, স্ত্রীকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেবজ্যোতি। তিনি আরো জানান, ব্যবসার আগের মতো চলছে না। এটাই আমাদের একমাত্র ভাতঘর। সেটুকুও করতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরে আমাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। অন্যদিকে দেবজ্যোতি দাসের মা সন্ধ্যা দাস বলেন,একটাই ছেলে ওই ব্যবসার উপর সংসার চলে।
যদিও বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হলো তৃণমূল নেতা বিপুল মাইতি হুমকি দিয়ে নার্সিংহোম তৈরির কাজ বন্ধ রেখেছে। এই নিয়ে মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার কাছে একাধিকবার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে হাজির হয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের আবেদনে কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টে নার্সিংহোম নিয়ে কটুক্তি করেন। এই অবস্থায় আমার ছেলে কি করবো? আমরা কোথায় যাবো? আরো অভিযোগ করেন,মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার নির্দেশে তৃণমূল নেতারা এসব কাজ করছে। আমরা চাইছি এর একটা সুষ্ঠ সমাধান হোক এবং নার্সিংহোম চালু হোক। কিছু উনারা নার্সিংহোম করতে দেবেন না। প্রায় সাত মাস  আমাদের এই ভাবেই হ্যারেস করা হচ্ছে।
সন্ধ্যা দেবী আরো জানান, নার্সিংহোম না হলে আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ নেই। হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,আমার ছেলে-স্বামীর যদির কোন কিছু হয়,পরিবারে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে। তার জন্য আমি মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে দায়ী করে যাবো। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্স বলেন,এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানো বা মন্ত্রীর নাম জড়ানো প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই নয়। আসলে যাঁদের জমি উনি কিনেছিলেন, তাঁরাই জানিয়ে দিয়েছেন চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাড়ির পাশের রাস্তা কোন ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা যাবে না। আর এই বিষয়টি অন্ধকারে রেখেই উনি নার্সিংহোমের জন্য বাড়ি লিজ দিয়েছিলেন। মিথ্যা অভিযোগ করে দোষারোপ করছে। এই ঘটনায় মন্ত্রী মানস ভূঁইয়াকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে তৃণমূল নেতা বিপুল মাইতি বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে কোন কিছু জানা নেই। বাধা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে।

ওখানে আমাদের কোন জায়গাও নেই। আমাদের কোন দরকার নেই বাধা দেওয়ার। বাধা দিতে যাবো কেন? এলাকায় নার্সিংহোম হলে তো আমাদেরই সুবিধা। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, আমরাও শুনেছি তেমাথানিতে মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার নিজস্ব নার্সিংহোম হচ্ছে। বিল্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের সময় এখানে কোন পুলিশ প্রশাসন তো দূরের কথা ওদের অনুমতি ছাড়া গাছের পাতা নড়তে দেয় না।সেই জায়গায় মন্ত্রী বাবু নার্সিংহোম হবে। অন্য কেউ নার্সিংহোম করবে সেটা তারা মানবে কি করে? নিজেরা যখন ক্ষমতায় থাকবেনা তখন টাকা লুটের ব্যবস্থা করছে। সেই জন্য মানস ভূঁইয়া নার্সিংহোম তৈরি করছে। সেইজন্য ওই জায়গায় নার্সিংহোম অন্য কেউ যাতে না করতে পারে হুমকি বারবার দেওয়া হচ্ছে।