SBN Digital: স্বামীর মৃতদেহ বাড়িতে রেখে থানায় স্ত্রী। এমন অবস্থায় ডেবরা থানায় আবগারি দপ্তরের জেলা সুপার-সহ ডেবরার ওসি এবং আরও দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন মৃত যুবক ডাক্তার সোরেনের স্ত্রী সুপর্ণা সিং সোরেন। গতকাল তিনি ডেবরা থানায় ৮ বছরের ছেলে রাকেশ ও ৪ বছরের মেয়ে মৌমিতাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারসঙ্গে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চারজনের শাস্তির দাবি করেছেন। এদিকে, এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রইলেন আবগারি জেলা সুপার সুরজিৎ সরকার ও ডেবরার ওসি রাজা মণ্ডল। বারবার ফোন করা হলেও এঁরা কেউই ফোন ধরেননি। তবে এদিন অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর যে, এঁদের উপর আরও চাপ তৈরি হয়েছে, সেটি আবগারি দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরা স্বীকার করছেন। অভিযোগপত্রে মৃত যুবক ডাক্তার সোরেনের স্ত্রী সুপর্ণা সিং সোরেন গোটা ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন, সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁর স্বামী ডাক্তার সোরেন বাইকে চেপে দৈনন্দিন কাজে বাড়ি অনন্তবার থেকে রাইসরের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন লোয়াদায় কংসাবতী নদীর সেতুর নিচ থেকে পূর্বদিকে যাওয়ার পথে একটি ওষুধের দোকানের সামনে তাঁর স্বামীকে চারজন আবগারি কনস্টেবল ইচ্ছে করে আটকান। তারপর তাঁকে ঘিরে ধরে অবৈধভাবে টাকা চান। দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বাইক দিয়ে অ্যাক্সিডেন্ট করানো হয় বলে তাঁর অভিযোগ। তারপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় জোর করে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়।
তারপর মৃতপ্রায় অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পালান। আর এরকম অত্যাচারের কারণে তাঁর স্বামীর সোমবার বিকেল চারটের সময় মৃত্যু হয় বলে তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন। আর এই অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি মৃত যুবকের স্ত্রী একটি ভিডিও ফুটেজও থানায় দিয়েছেন। এদিকে, মঙ্গলবার রাতে ডাক্তার সোরেনের মৃতদেহ ডেবরা থানার লোয়াদা-ষাঁড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অনন্তবাড় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হলেও বুধবার বিকেলে সেই মৃতদেহ সৎকার করা হয়। রাতভর বাড়িতেই মৃতদেহ রাখা ছিল। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “অভিযোগ পেয়েছি। এফআইআর হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
আবগারি দপ্তরের জেলা সুপার, ডেবরার ওসি-সহ দুই কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
