Top NewsCrime: স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড কেটে বের করে হাতে নিয়ে রাস্তায় স্বামী, শিউরে ওঠার...

Crime: স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড কেটে বের করে হাতে নিয়ে রাস্তায় স্বামী, শিউরে ওঠার মতো ভয়ংকর ঘটনা

SBN Digital: নৃশংস বললেও কম বলা হয়। সাতসকালে স্ত্রী-র হৃৎপিণ্ড হাতে নিয়ে ঘুরছে স্বামী। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে হতবাক জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির ব্যাংকান্দি এলাকার বাসিন্দারা। প্রাথমিক ঘোর কাটিয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই খোঁজ-খোঁজ রব ওঠে চারদিকে। তবে, ততক্ষণে উধাও হয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী রমেশ রায়। পরে দুপুরেই স্ত্রী দীপালি রায় (৪৫)-কে খুনের অভিযোগে রমেশ রায় (৫৩)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে হৃৎপিণ্ড-সহ সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া দেহাংশ। ধৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ড বহালে। শুক্রবার সকাল ৮টা সবে দিন শুরু হয়েছিল ময়নাগুড়ির ব্যাংকান্দিতে। কিন্তু, অস্বাভাবিক এই ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রমেশের প্রতিবেশী বাবলু রায় জানান, সকালে ব্যাগ নিয়ে ঘুরছিল রমেশ। হঠাৎ নিজেই ব্যাগ থেকে মাংসপিণ্ড বের করে দাবি করে এটি তার স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার আগেই ব্যাগসমেত উধাও হয়ে যায় রমেশ। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ এসে ঘরে ঢুকে তল্লাশি করতেই দেখতে পান, বিছানায় পড়ে রয়েছে দীপালি রায়ের দেহ। খুন করে বুকের ভিতর থেকে মাংসপিণ্ড খুবলে বের করে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শুক্রবার সকালেই নৃশংস খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রমেশ স্ত্রীকে খুন করেছে, সেটিও উদ্ধার হয়েছে। এরপর ফেরার রমেশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় দোমোহনির শিঙ্গিমারি এলাকা থেকে রক্তাক্ত ব্যাগ বুকে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় এক বাঁশঝাড়ের নিচ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।কিন্তু, কেন এই নৃশংস হত্যার ঘটনা? মাঝবয়সি রমেশ ও তার স্ত্রী দীপালির দুই সন্তান। ভাইপো প্রসেনজিৎ রায় জানান, মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে কেরলে কাজ করেন। মাছ ধরে, বাড়ির কলাবাগানের কলা, মোচা, থোড় বিক্রি করে দিন গুজরান করতেন দম্পতি। আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের দাবি, সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তাঁরা কারও সঙ্গে সেই অর্থে মেলামেশা করতেন না। প্রতিবেশী সুবল রায় জানান, বছর কয়েক আগে গাঁজার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন রমেশ। সেই থেকেই মাথার সমস্যা বলে তাঁদের অনুমান। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ জানান, ধৃতের ব্যাগ থেকে দেহের বেশ কিছু অংশ উদ্ধার হয়েছে। তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতের ছেলে ও মেয়ের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।