নিজস্ব সংবাদদাতা: বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গাড়িতে চাপিয়ে বিধায়ককে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন বিধায়কের গাড়ির চালক। মৃতের নাম নীলকণ্ঠ পাল (৩৭)। তাঁর বাড়ি পূর্বস্থলী স্টেশন সংলগ্ন কুলুপাড়া এলাকায়।
পরিবারের লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে বাড়ির পাশে থাকা একটি নাট মন্দিরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। পরিবারের লোকজনের অনুমান, কয়েক বছর আগে ব্যবসায় লোকসানের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী স্টেশন সংলগ্ন এলাকার কুলুপাড়ায় বাসিন্দা নীলকণ্ঠ পাল ওরফে টোটোনের। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি চালাতেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের দাদা পরিমল পাল বলেন, “ভাই বিধায়কের গাড়ি চালাতেন। কারও সঙ্গে ভাইয়ের শত্রুতা ছিলনা, খারাপ ব্যবহারও ছিলনা। সময় মতই বাড়ি আসত। কাল রাত ১০ টার পর বাড়ি ঢোকে। খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে চলে যায়। এদিন সকালে নাট মন্দিরে ভাইকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।” তিনি বলেন, “ভাই খুব কম কথা বলতো। একা থাকতেই ভালোবাসতো। সেইভাবে কিছু জানায়ও নি। কেন এইরকম করল বুঝে উঠতে পারছি না।” তবে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও বিধায়কের গাড়ি চালাতেন নীলকণ্ঠ। মাঝখানে কাপড়ের ব্যাবসাও শুরু করেন। ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। একারণে কিছু টাকা দেনাও হয়ে যায় তাঁর। বছর খানেক আগে তিনি বিধায়কের কাছে ফিরে আসেন ও তাঁর গাড়ি চালাতে শুরু করেন।
বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও স্থানীয় তিনটে বিয়ে বাড়ি, এরপর কালনাতেও আমাকে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যায়। এরপর রাত ৯ টায় বাড়ি চলে যায়। এইরকম একটি ঘটনা ও কেন ঘটালো বুঝে উঠতে পারছি না।”