Exclusive: সাসপেন্ড পিংলার মুন্ডুমারী ঊষানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক, খুশি অভিভাবকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: অবশেষে সাসপেন্ড করা হল পিংলা থানার মুন্ডুমারি ঊষানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষককে। তারসাথে তাঁকে মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অশ্বিনী কুমার গুছাইতকে। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারসাথে একইসঙ্গে তাঁকে মাধ্যমিক পরীক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর মধ্যমিক পর্ষদের এই সিদ্ধান্তে খুশীর হাওয়া অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে। এই ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (উচ্চ মাধ্যমিক) স্বপন সামন্ত বললেন ” পিংলার মুন্ডুমারি ঊষানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করার নির্দেশিকা এসেছে।” জানা গিয়েছে এই নির্দেশিকার বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে এই ব্যাপারে মাধ্যমিক পর্ষদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আহ্বায়ক শুভেন্দু গুঁইন বলেছেন ” দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠছিল পিংলার মুন্ডুমারি ঊষানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁকে এই বিদ্যালয়ের সেন্টার সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এই দায়িত্ব পালন করবেন। আর তাঁকে এই দায়িত্বে রাখার ব্যাপারে বিডিও স্তর থেকে আপত্তি করা হয়েছিল।” যদিও ফোন বন্ধ থাকায় পিংলা থানার মুন্ডুমারি ঊষানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পল্লব বটব্যালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। এদিকে এই খবরে খুশীর হাওয়া অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে। তারিনীপ্রসাদ ভট্টাচার্য নামে এক অভিভাবক বললেন ” মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশী। আমরা এতদিন ধরে যে অভিযোগগুলি তুলছিলাম সেগুলি নিয়ে এবারে তদন্ত হওয়া দরকার।” প্রসঙ্গত এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পল্লব বটব্যালের বিরুদ্ধে মিড ডে মিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিভাবকরা ও এলাকাবাসীরা বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে আলোচনার আশ্বাস পেয়ে অভিভাবকরা বিক্ষোভ তুলে নেন। পরবর্তীকালে বুধবার সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিভাবকরা সহ এলাকাবাসী। যদিও সেদিন কোনও ফয়সালা হয় নি। তবে সেই বৈঠকের পরেরদিন বৃহস্পতিবার মধ্য শিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তে গোটা এলাকায় খুশীর পরিবেশ।