অন্যান্যExclusive: পাখি সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ সবংয়ের অমল বাবুর

Exclusive: পাখি সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ সবংয়ের অমল বাবুর

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাড়ির জানলার পাশে কাঠের পাটাতন। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও,এখানেই নতুন করে ঘর বাঁধছে পায়রা। নেপথ্যে রয়েছেন সবংয়ের অমল পন্ডা। সামান্য উপকরণে তিনি ঘরেই গড়ে তুলেছেন ছোটখাট পাখিরালয়। কয়েক দশক আগেও কিন্তু পাখিদের বাসা বাঁধতে এমন বিপদে পড়তে হয়নি। ভোর হতে না হতেই নানা পাখির ডাক শোনা যেত। এখন কোকিলের ডাক,কাঠঠোকরার কাঠ কাটার আওয়াজ কিংবা কাক, চড়াই, দোয়েলের কাকলি আর কানে আসে না। তাঁদেরই জন্যই কৃত্রিম ঘর বানিয়ে দিয়েছেন অমল বাবু। পেশায় তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সকাল হলেই বাড়ির কাজ সেরে পায়রা থেকে বিভিন্ন পাখিদের আশ্রয়ের কথা ভাবেন। পাখিদের জন্য আশ্রয় দেওয়ার কথা মাথায় এল কীভাবে? অমল বাবু জানালেন,এক শ্রেণির মানুষ ক্রমাগত গাছ কেটে উঁচু উঁচু ফ্ল্যাট বানিয়ে চলেছেন। তাঁরা কেউ পাখিদের কথা ভাবেন না। নিজেদের বাড়ি তৈরি করার জন্য পাখিদের বাসা নষ্ট করছেন। এই আশ্রয়হীন পাখিদের জন্য তিনি বাড়ির জানালার পাশে কাঠের একটি পাটাতন করে রেখেছেন। তবে শুরুতেই যে সফল হয়েছেন তা নয়। প্রথম প্রথম পাখিরা বেশ ভয় পেত। তবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই দু’একটা পাখি সেখানে সংসার পাতা শুরু করে।

উৎসাহ পেয়ে অমল বাবু পাখির বাসায় খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এখন তো খাবার দেওয়ার সময় হলেই পাখিরা বাসায় এসে হাজির হয়। এখন সকাল হলেই পায়রা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে পন্ডা পরিবারের। অমল বাবুর এই পাখিরালয়ের কূজন শুনে স্থানীয় বাসিন্দারাও দারুণ খুশি। তাদের কথায়, এখন সকাল হলেই অমল বাবুর পাখিরালয় থেকে পাখির ডাক ভেসে আসে। অমল বাবু বলেন, ‘‘একদিকে সবুজকে ধ্বংস করে কংক্রিটের জঙ্গল তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে বিদ্যুতের তারে আটকে পাখিদের মৃত্যু ঘটছে। গাছে আশ্রয় নেওয়া পাখিরা একটু আশ্রয়ের খোঁজে এদিক ওদিক উড়ে বেড়ায়। তাই ওদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি।’’ সকাল হলে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন পাখি থেকে শুরু করে পায়রা হাজির হয়। প্রতিনিয়ত তাদের জন্য খাওয়ার তুলে দেই নিজের হাতে। আগামী দিনেও করে যাব।