নিজস্ব প্রতিনিধি: বাস ও লরির মুখোমুখী সঙ্ঘর্ষে জখম হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৫ জন। রবিবার দুপুরে মেমারির কদমপুকুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা কিছু সময়ের জন্য পথ অবরোধও করেন। এই এলাকায় মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের দাবি। যান নিয়ন্ত্রণ ও রাস্তায় স্পিড ব্রেকারের দাবি তোলেন স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে, এদিনই খণ্ডঘোষে পুলিশের গাড়ির সঙ্গে একটি টোটোর সঙ্ঘর্ষ হয়। ঘটনায় টোটোচালক সহ চারজন জখম হন। পুলিশের গাড়িটিও রাস্তার ধারে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। জখমদের উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মেমারির দুর্ঘটনায় জখমদের মধ্যে ৬ জন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের মেমারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। খণ্ডঘোষের দুর্ঘটনায় জখমরাও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিন দুপুরের সাতগাছিয়ার দিক থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস দ্রুতগতিতে মেমারির দিকে যাচ্ছিল। উল্টোদিক দিক থেকে লরিটিও দ্রুতগতিতে আসছিল। মেমারির কদমপুকুর এলাকায় বাস ও লরির মুখোমুখী সঙ্ঘর্ষ হয়। বাসের চালক সহ যাত্রীরা জখম।
স্থানীয়রা উদ্ধারে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে আসে মেমারি থানার পুলিশও। জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৬ অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগে বাস, লরি, বাই ও ভ্যান রিকশা একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এই রাস্তায়। একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। তার আগে বাস ও লরির সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। এদিন যান নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় স্পিড ব্রেকারেরও দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। পুলিশ- প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এদিনই খণ্ডঘোষ থানা সংলগ্ন এলায় পুলিশের গাড়ির সঙ্গে টোটোর সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, টোটোটি লোদনা থেকে অমরপুরের দিকে যাচ্ছিল। থানার কাছে পুলিশের গাড়িটি টোটোয় ধাক্কা মারে। টোটো পাশের নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। পুলিশের গাড়িটিও নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। টোটোচালক নওশাদ মণ্ডল (২৩), টোটোর আরোহী অভিজিৎ মল্লিক (২৯), তাঁর স্ত্রী পায়েল মল্লিক বয়স (২৩) ও তাঁদের শিশু কন্যা অনিতা মল্লিক (৪) গুরুতর জখম হন।
খণ্ডঘোষ থানার অমরপুরে তাঁদের বাড়ি। এদিন পায়েল দিদির বাড়ি লোদনা থেকে টোটোতে করে অমরপুর ফিরছিলেন। তবে পুলিশের গাড়িতে চালক ছাড়া কোনও পুলিশ কর্মী ছিলেন না। জখমদের প্রথমে খণ্ডঘোষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।