Top Newsমদ খাইয়ে অচৈতন্য অবস্থায় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ২

মদ খাইয়ে অচৈতন্য অবস্থায় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাঁথি: মদ খাইয়ে অচৈতন্য অবস্থায় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও সদস্যদের। অভিযোগ, রামনগরের একটি মেসে ঢুকে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই প্রথমে নেশাগ্রস্ত করা হয়। স্ত্রীকে পরে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামী। দেড় মাস পরে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযোগ পাওয়ার পরই কাঁথির মহিলা থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের আদালতে হাজির করলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসের ২০ তারিখ রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি নির্যাতিতার। প্রায় দেড় মাস আগের ঘটনা হলেও, হুমকিতে ভয় পেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানোর সাহস পাচ্ছিলেন না বলে নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন। গত মঙ্গলবার কাঁথি মহিলা থানায় নির্ভাতিতা ২০ জুলাইয়ের রাতে ঘটনার লিখিত বিবরণ দিয়ে অভিযোগপত্রে জানান, রামনগর কলেজের ফিসারি বিভাগের ছাত্রী। বাড়ি এগরায়। ভালোবেসে এক যুবককে বিয়ে করে রামনগরে একটি মেসবাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। এই মেস ভাড়া করতে কলেজের দাদারা সহযোগিতা করেন। ১৯ জুলাই রাতে বিয়ের খাওয়া-দাওয়া ছিল। সেখানে কলেজের দাদারা উপস্থিত হন। রাতে এক দাদা তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ২০ জুলাই ছাত্র পরিষদের সভাপতি শতদল বেরার নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁদের মেসে আসেন। সঙ্গে নেশার দ্রব্য ছিল। তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে জোর করে নেশা করানো হয়। রাতে তাঁর স্বামী তাঁকে ওঁদের মাঝখান থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন। কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ পেয়েই রামনগর থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শতদল বেরার নামও রয়েছে। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। রামনগর কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে কলেজের সম্পর্ক নেই। কলেজের ঐতিহ্য নষ্ট করতে চাইছে কেউ কেউ। এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। যদি কেউ অভিযুক্ত হয়, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা হবে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নয়।”এদিকে, দেড় মাস পর অভিযোগ দায়ের হওয়ায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।