SBN DIGITAL: দশমীর রাতে শহরের আনন্দনগরের যুবক পাপ্পা কুন্ডুকে খুনই করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেই তথ্য প্রকাশের পরই পুলিশ এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনকে আদালতে তুলে হেফাজতে নিয়েছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। এরপরেই এই ঘটনার পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্বও উঠে এসেছে। যদিও এখনই এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তা বলেন, “দু’জনকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়েছি। তারমধ্যে এক মহিলাও রয়েছে। বেশি কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে এই ঘটনায় যুক্ত অন্যান্যরা পালিয়ে যেতে পারে। ঘটনার কিনারা করার পর বিস্তারিত সংবাদ মাধ্যমে জানানো হবে।”
রবিবার দশমীর দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ আনন্দনগরের বাড়ি থেকে পাপ্পাকে ডেকে নিয়ে যায় পাড়ার বন্ধু লিটন পাল (সোনাই)। ওই দিন রাত দশটা নাগাদ জংশনে রেল হাসপাতালের পুকুরের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পাপ্পার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই প্রথমে রেল হাসপাতাল ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পাপ্পাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন পাপ্পার মৃতদেহ নিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
পাপ্পার মা সন্ধ্যা কুন্ডু বলেন, “সেদিন লিটন পাপ্পাকে ডেকে নিয়ে যায়। সাড়ে দশটায় বাড়িতে দিয়ে যাবে বলে নিয়ে যায়। লিটন ও ওর দাদা ছেলের খুনের ঘটনায় যুক্ত রয়েছে। ওদের শাস্তি পুলিশ না দিলে আমি দেব।” বাবা মহাদেব কুন্ডু বলেন, “ঘটনার পর থেকে লিটনের পরিবার পলাতক।
ওরা খুন না করলে কেন বাড়ি থেকে পালাবে?” প্রসঙ্গত, গত বছর মহালয়ার দিন ১৫ অক্টোবর বাউন্সার গৌরব মুখোপাধ্যায়কে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পিছনেও ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব উঠে এসেছিল। এই বছর দশমীতেও পাপ্পা কুন্ডুকে খুনের ঘটনার পেছনেও ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব উঠে আসছে। পরপর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন শহরের মানুষ।