রাজ্যSabang News: পরিবেশ রক্ষার অভিনব বার্তা! গাছে রাখি বাঁধল সবংয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের...

Sabang News: পরিবেশ রক্ষার অভিনব বার্তা! গাছে রাখি বাঁধল সবংয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়ারা

SBN News Digital: ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে রাখিবন্ধন উৎসব। শুধুমাত্র মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পরিবেশের সমস্ত জীবের সঙ্গে মানুষের এই বন্ধন রয়েছে। বাস্তুতন্ত্রে একে অপরের পরিপূরক। আর এই পরিবেশের ভারসাম্য বা বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহন করল খুদে স্কুল পড়ুয়ারা। বড় বড় প্রাচীন গাছে রাখি পরিয়ে প্রকৃতি বাঁচানোর বার্তা স্কুল পড়ুয়াদের। গাছ হল মানুষের প্রিয় বন্ধু। গাছ মানুষকে নানান ভাবে সাহায্য করছে। 
কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ বেআইনি ভাবে গাছ কেটে ফেলছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। আগামীতে মানুষ সমস্যায় পড়বে। পরিবেশ রক্ষা করা সকলের কর্তব্য। সেই বার্তা দিতেই গাছকে ভাই মেনে রাখি বাঁধল খুদে পড়ুয়ারা। তাদের মূল লক্ষ্য মানুষ যেন গাছ না কাটে। ছাত্রী অঙ্কিতা মুর্মু বলেন, “রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষে আমরা গাছকে ভাই হিসেবে রাখি পরালাম। আমাদের মূল উদ্দেশ্য কাজ যেন কেউ না কাটে। পরিবেশে গাছ আছে বলে আজ আমরা বেঁচে আছি। তাই গাছকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের চাউলকুড়ি অঞ্চলের আশাপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন। অনেকেই নিজের হাতে রাখি তৈরি করে নিয়ে এসেছিল। গাছে বাঁধার সুবিধার মত সুতো দিয়ে বড় বড় আকারের রাখি তৈরি করেছে তারা। নিজেদের হাতে তৈরি করা রাখির মধ্যেও সবুজ রক্ষার বার্তা রয়েছে।  স্কুলের পাশে গ্রামে একাধিক প্রাচীন বটগাছ,অশ্বত্থ থেকে শুরু করে খিরিশ গাছে শঙ্খ বাজিয়ে সিঁদুর পরিয়ে পুজো করে রাখি পরিয়ে দেয় পড়ুয়ার। এমনকি গাছে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করে চুম্বন করার দৃশ্য দেখা যায়। পাশাপাশি প্রতিটি গাছের মালিককে সম্বর্ধনা জানানো হয়। তাদের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিল স্কুল কতৃপক্ষও। এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপম বেরা বললেন ” আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা দূষণ। জন বিস্ফোরণ ও অত্যাধুনিক জীবন যাপনের সাথে সাথেই যা ক্রমবর্ধমান। এখন দরকার এরকম পুরনো বড় বৃক্ষগুলো রক্ষা করা। যে বার্তা দিল আমাদের বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।”
স্কুলের শিক্ষক অরিজিৎ দাস অধিকার বলেন, “রাখি বন্ধন উৎসব পালন করলাম। আমরা দেখেছি বন মহোৎসব থেকে বৃক্ষরোপণ প্রচুর হয়। কিন্তু সেই রোপন করা বৃক্ষ গুলোকে স্থায়ী করার জন্য বৃক্ষ সংরক্ষণের জোর দিতে হবে। আমাদের সমাজে এখন প্রাচীন বৃক্ষগুলো কাটা পড়ছে। যার ফলে বৃক্ষ রোপনের জন্য শপথ নিচ্ছি। কিন্তু পরিবেশ রোধ হচ্ছে না। ‌তাই স্কুলের পড়ুয়া উদ্যোগে ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অভিভাবিকা শ্যামলী পড়্যা বললেন ” ব্যাক্তি মালিকানায় থাকা গাছগুলি অনেক সময় অভাবের কারনে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই বিক্রি বন্ধ করতে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলে ভালো হয়।” এদিকে এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করায় অভিভাবকরা কচিকাঁচাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। প্রত্যেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।