SBN Digital: আগেই ফিরে এসেছিলেন তিনজন। এবার দীর্ঘ ১১ দিন পর গুজরাত থেকে বাড়িতে ফিরলেন বাকি ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এই ১৩ জনের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের গোবর্ধনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহরদা এলাকার ১১ জন রয়েছেন। আর বাকি দু’জন সবং থানার শীতলদা এলাকার। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় এঁরা সকলে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বই থেকে গীতাঞ্জলি সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে চেপে এদিন বিকেলে খড়গপুর স্টেশনে পৌঁছন তাঁরা। সেখানে তাঁদের স্বাগত জানান পিংলার বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি, জেলা পরিষদের সদস্য বীরেন্দ্র নাথ মাইতি, পিংলার তৃণমূল নেতা চন্ডী সামন্ত, খড়গপুর দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। বাড়ি ফিরেই পরিযায়ী শ্রমিকরা সকলে সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা আর ফিরে যাবেন না গুজরাতে। তারসঙ্গে তাঁরা বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পিংলা ব্লকের গোবর্ধনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহড়দা এলাকার বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক অরূপ জানা বলেন, “আমাদের ফেরার ব্যাপারে অজিত মাইতি সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের ফেরার ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করেন। তাঁর প্রতি আমরা সকলেই কৃতজ্ঞ।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আমরা আর গুজরাতে ফিরে যাব না। আমাদের থানায় বায়োডেটা-সহ যাবতীয় তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা বাড়িতে থেকেই কাজ করতে চাই।” আর বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, “গুজরাতে আটকে থাকা এই যুবকদের ফিরিয়ে আনতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছি। ওদের থানায় বায়োডেটা-সহ যাবতীয় তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। ওদের কর্মসংস্থানের একটি চেষ্টা সরকার করবে।”
এদিকে, ছেলে বাড়িতে ফিরে আসায় মা লতিকা জানা বললেন, “আমরা আর কিছু চাই না। ছেলে ফিরে এসেছে, এটাই যথেষ্ট। এখানে যা কাজ জুটবে সেটাই করবে।” আর স্ত্রী চৈতালী জানা বললেন, “এই ক’টা দিন রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। ঠিকভাবে খেতে পারিনি। খালি সন্তান দু’টির মুখের দিকে চেয়ে ভাবছিলাম ওদের বাবা কবে ফিরবে। ফিরে এসেছে। নিশ্চিন্ত হয়েছি।” প্রসঙ্গত, ২৭জুলাই ১৬ জনের একটি দল গুজরাতের সুরাতে গিয়েছিলেন কাজের জন্য। কিন্তু সেখানে সেদিন রাতে সুরাতের পুলিশ ১০ জনকে বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে মারধর করে থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। যদিও পরের দিন রাত ১২টা নাগাদ সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই এঁদের সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার দু’দিন পরই তিনজন ফিরে আসেন। বাকি ১৩ জন কোম্পানির একটি গুদামে দিন কাটাতে শুরু করেন। অরূপ জানান, এই ১১ দিন ওঁরা ভাত ও আলু-সয়াবিনের ঝোল খেয়ে কাটিয়েছেন।
Pingla News: দীর্ঘ ১১ দিন পর গুজরাত থেকে বাড়িতে ফিরলেন ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক
