নিজস্ব সংবাদদাতা: স্কুলের প্রেমিকার কাছে প্রত্যাখ্যান। পছন্দের বান্ধবী প্রেমে নারাজ। সেই রাগে প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিককে স্কুলের সামনেই ধস্তাধস্তি, বচসা, ছুরি নিয়ে চড়াও। এমন ঘটনায় সোমবার শোরগোল পড়ে যায় বোলপুরের প্রান্তিক এলাকায়। ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযুক্ত ওই ছাত্র হাতে চোট আছে বলে ব্যান্ডেজ বেঁধে আসত। স্কুল ব্যাগেও থাকতো ছুরি। আক্রোশ থেকেই ব্যান্ডেজের মধ্যেই জামার তলায় লুকিয়ে রাখা ছিল ছুরি। ধস্তাধস্তির পর সহপাঠীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।
যদিও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার বোলপুর আদালতে তোলা হলে দ্বাদশ শ্রেণির নাবালক পড়ুয়ার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল জানান, “পড়ুয়াকে জামিন দিয়েছেন বিচারক।” যদিও জখম ছাত্রের বাবা আক্রম হোসেন বলেন, “পড়ুয়া আমার ছেলের সহপাঠী হলেও আচরণ পুরোপুরি সাইকো। জামিন তো হয়েছে। এখন জানি না আবার কি ঘটনা ঘটাবে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। স্কুলের মধ্যেই যদি ছুরি, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পড়ুয়ারা চলে আসে যে কোনও সময় ঘটে যাবে বড় দুর্ঘটনা।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছুরি দিয়ে আঘাত করা পড়ুয়া বরাবরই বেপরোয়া। স্কুলের বিভিন্ন সহপাঠীর সঙ্গেই আগেও একাধিকবার ঘটিয়েছে একাধিক ঘটনা। এছাড়াও তার বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় ঠাকুমার কাছেই মানুষ। সম্পর্কের টানাপোড়নের কারণেই অভিভাবকের শাসন না থাকায় ঘটিয়েছে একের পর এক মারধোর, ধস্তাধস্তি, র্যাগিংয়ের মতো ঘটনা। তবে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর এমন ঘটনায় রীতিমত চিন্তিত সকলেই । একই সঙ্গে প্রশাসনেরও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত যাতে পুনরায় এ ধরনের ঘটনা না ঘটে বলেই মনে করছেন স্কুলের অন্য অভিভাবকেরাও।
