SBN NEWS: ফুঁসছে সন্দেশখালি। ফের নতুন করে একাধিক প্রান্তে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশাসনের উপর নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবির। একদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। কিন্তু, পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার আবার বসিরহাটে এসপি অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। নেতৃত্বে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আটক করা হয় বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে। গতকাল অসুস্থ হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ভর্তি হন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এবার সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আজ (১৫.০২.২০২৪) বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বগদা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,স্থানীয় পুলিশকে যদি ওখান থেকে টান্সপার করা হয় আমার মনে হয় কোন লাভ হবে না। কারণ এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পলিসি। তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
পাশাপাশি দুর্বৃত্তদের সুযোগ দিচ্ছে, আর সেটাকে পুলিশকে দিয়ে চেপে রাখার চেষ্টা করছে। এর জন্য পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ করা উচিত, তারপর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। না হলে কোন সত্য সামনে আসবে না। এর পাশাপাশি সন্দেশখালি কাণ্ড, নিয়ে ‘মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে’, শিবু হাজরা মিডিয়ার সামনে দাবি করেন।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, রোজ নতুন নতুন মুরগি খোঁজা হচ্ছে কার ঘাড়ে চাপানো যাবে। যারা শিবু হাজরার মত সমাজবিরোধী- ক্রিমিনাল। যারা স্থানীয় মানুষজনদের উপর অত্যাচার করেছেন, সরকারি পয়সা লুট করেছেন। তাদেরকে তো আগে সাজা দিতে হবে। তারা কি করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় ? কি করে ইন্টারভিউ দেয় চ্যানেলকে ? এই কথার উত্তর পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিতে হবে। তারমানে তারা তাকে প্রটেকশন দিচ্ছে যাতে অ্যারেস্ট না হয়, আইনে না আসে। এইসব খুব বেশিদিন চলবে না। একদিন না একদিন তাকে আসতেই হবে আইনের সামনে।
