SBN NEWS DIGITAL: পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আগেই এ নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্কুল শিক্ষা দপ্তর এ ব্যাপারে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও থানার আইসি এফআইআর না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআই ওই চিঠির সত্যতা অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেবে।
পাশাপাশি, বিধাননগর থানার আইসি প্রতীক বসুকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন, তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও এফআইআর করেননি। সেই সঙ্গে জিটিএ জানাবে, প্রায় ৭০০ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পিছনে কতটা সত্যতা আছে। তাদের যোগ্যতা ও নিয়োগ কি ভাবে তার নথি দিতে হবে আদালতে। এদিন আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন পাহাড়ের কংগ্রেস নেতা বিনয় তামাং।
তিনি বলেন, “কোনও অনিয়ম হলে সিবিআই তা খতিয়ে দেখবে।” তবে জনমুক্তি মোর্টার সঙ্গ ছেড়ে বিনয় যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন তাঁর মাধ্যমেই এই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। কারণ আদালতে পাঠানো। বেনামি চিঠিতে বিনয়ের মতো নেতা নেতা যুক্ত ছিলেন বলেই অভিযোগ। তাঁর পাশাপাশি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দার্জিলিংয়ের তখনকার মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার, তৃণমূল ছাত্র- যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং ছাত্র নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তীর নাম ছিল ওই চিঠিতে। সিবিআইকে এই অনুসন্ধানের নির্দেশ নিয়ে হামরো পার্টি ছেড়ে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া অজয় এডয়ার্ডও স্বাগত জানিয়েছেন।
সম্প্রতি, পাহাড়ে (জিটিএ) এলাকায় বেআইনি নিয়োগ নিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ছাড়াই ৭০০ জনের বেশি শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে। এই মামলায় নাম জড়ায় বিনয় তামাঙেরও। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, পাহাড়ে প্রচুর বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এই বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।
যদিও রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষাণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা একটা অনুসন্ধান কমিটি ইতিমধ্যেই তৈরি করেছি এই বিষয় খতিয়ে দেখতে।” আরও বলেন, রাজ্যের অনুমতিতেই ৩১৩ জনের নিয়োগ হয়েছে। এছাড়া আগেই ৪৩৯ জনের নিয়োগের অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য। ৩১৩ জনের যখন নিয়োগ হয়, সেই সময় আঞ্চলিক কমিশন কার্যকর ছিল না যেকোনও কারণে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ করে দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি বিচারাধীন হাই কোর্টে। এরই মধ্যে একটি রহস্যজনক চিঠি আসে হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কাছে। তাতে রাজ্যের একাধিক নেতা- মন্ত্রী সহ নাম ছিল পাহাড়ের নেতাদেরও।