নিজস্ব সংবাদদাতা: ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন সবং শহীদ স্মৃতি কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড এর পক্ষ থেকে ৭৫ তম স্বাধীনতা প্রজাতন্ত্র দিবস পালন হলো সারা সবংজুড়ে। সবং-এর স্বাধীনতার সংগ্রামীদের অনন্য ভূমিকার জন্য ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে,সবংএর ৭৫ জন স্বাধীনতার সংগ্রামীর বাস্তুভিটাতে একযোগে পতাকা উত্তোলন, মানপত্র প্রদান, মিষ্টিমুখ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে সেই সব সংগ্রামীদের নানান ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
মূলয়পতাকা উত্তলন করেন সবংএর বিধায়ক মন্ত্রী ডা মানস রজ্ঞন ভূঞ্যা আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭৫ তম বর্ষকে সামনে রেখে অনুরূপভাবে সবংএর স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানের জন্য ৭৫ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাস্তুভিটাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মানপত্র প্রদান,চন্দন বৃক্ষরোপণ, মিষ্টি মুখ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হলো। সারা সবং জুড়ে ভ্রাম্যমান অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ব্যবস্থায় সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। সমিতির ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্ত জানান,” সবং স্বাধীনতা সংগ্রামীর আতুড়ঘর। সকল শহীদদের সম্মান জানাতেই আমাদের সমবায় সমিতি ১৯৫৮ সাল থেকেই ‘শহীদ স্মৃতি ‘ নাম নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমাদের পূর্বসূরিদের সম্মান জানাতে এবং অনালোচিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবার এ এক ছোট্ট এই উপলক্ষ।”
আমরা স্বাধীনতার 25 বছর পর স্বাধীনতার সংগ্রামী শ্রী বিজয় কুমার ভক্ত-এর “স্বাধীনতা সংগ্রামে সবং” গ্রন্থটির পুনঃ মুদ্রণ করে সবং এর নানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বাড়ীতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছি।’ সমিতির সঙ্গে সংযুক্ত অজিত আদক, আকাশ পাল জানান ” সবংএর প্রথম শহীদ হৃদয় বাগ, দ্বিতীয় শহীদ জেলাশাসক ই .জে. বার্জকে হত্যাকরে অকূস্থলে আত্মাহুতি দেন অনাথবন্ধু পাঁজা,ভারতছাড়ো আন্দোলনের ভূপতি দাস সহ অগনিত স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগ স্মরণ আমাদের নৈতিক কর্ত্তব্য।” চন্দন কুমার পাত্র সামনে থেকে নানান দায়িত্ব পালন করে এই অনুষ্ঠানটিকে সফল করে তুলেছেন। শিক্ষক ও নানান পেশায় সংযুক্ত ৭৫ জন এই গুরুদায়িত্ব নিয়ে সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন করেন।
ভ্রাম্যমান অনুষ্ঠানে সবং-এর নানান জনবহুল স্থানে দেশাত্মবোধক গান, আবৃত্তি ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে সাধারণতন্ত্র দিবসের ৭৫ তম বর্ষকে স্মরণ করা হল। সংশ্লিষ্ট সহযোগীদের কৃতজ্ঞতা জানান ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন আশাপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক অরিজিৎ দাস অধিকারী বলেন, ” এই ব্যাঙ্ক নানান সমাজসেবা ও সবংএর উন্নয়ন, শহীদের স্মরণে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। শুধুমাত্র আর্থিক নয় সামাজিক ভাবেও এই সমবায় সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।”