মেদিনীপুরঃ ২০১৪ সালে অভিনেতা দেব (দীপক অধিকারী) ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার পর দেবে-এর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ঘাটালের তৎকালীন বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের। বলতে গেলে, দেবকে ঘাটাল চিনিয়েছিলেন, শঙ্কর দোলই-ই। দেব-এর প্রচার, সাংসদ হওয়ার পর কোথায় কী কাজ হবে সবই ঠিক করে দিতেন শঙ্কর দোলই। এক–দু’বছরের মধ্যেই সম্পর্কে চিড় ধরে। দেব এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে শঙ্করের। সাংসদ দেব-এর বিরুদ্ধে শঙ্কর দোলই বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার করে বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঘাটালে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তৃণমূলের শঙ্কর দোলই। আস্তে আস্তে দলের অন্দরে কোনঠাসা হয়ে পড়েন শঙ্কর দোলই। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল জেলাপরিষদ আসানে টিকিট দেয় শঙ্করকে। ভোটে জয়ী হন। কয়েক মাস আগে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান হিসেবে শঙ্কর দোলই’কে দায়িত্ব দেয় দল। দায়িত্ব পেয়ে ডিসেম্বর মাসে ঘাটাল শিশুমেলা ও উৎসব কমিটি থেকে সাংসদ দেব-এর নাম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শঙ্কর পন্থীদের বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে ঘাটালের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাংসদ দেব। এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই দেব-এর সম্পর্কে মন্তব্য করা একটি অডিও ভাইরাল হয়। যে অডিও টি শঙ্কর দোলই-এর কন্ঠস্বর বলে দাবি করেন অনেকেই। শঙ্কর দোলই-এর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শঙ্কর দোলই। এরপর রবিবার ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পদ থেকে শঙ্কর দোলইকে সরিয়ে দেয় দল। ওই পদে আনা হয় ডেবরার প্রাক্তন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতিকে। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন রাধাকান্ত মাইতি। ২০১৬ সালে দল প্রার্থী করেনি রাধাকান্ত মাইতিকে। ডেবরার ব্লক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলান বেশকিছুদিন। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতেও যোগ দিয়েছিলেন রাধাকান্ত মাইতি। ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসেন। পরে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্ব পান। রবিবার শঙ্কর দোলাই’কে সরিয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিল দল।
রাজ্যGhatal: ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বদল
Ghatal: ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বদল
111
