রাজ্যতৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বুদবুদ

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বুদবুদ

SBN NEWS: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বুদবুদের সন্ধিপুর গ্রাম। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধরও করা হয়। চলে দুই পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিরোধীদের অভিযোগ, বালি ঘাটের দখল নিয়ে শাসক দলের এই দ্বন্দ্ব।

পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্ধিপুর গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভাঙচুর করা হল এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি। মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার মকর স্নান নিয়ে। স্থানীয় ডিভিসি ক্যানালে মকর স্নান করতে গিয়েছিলেন বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তপন বাগদি।

সেই সময় তাঁর ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা বলে অভিযোগ। সাময়িক বিবাদ মিটলেও আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য তপন বাগদির সন্ধিপুরের বাড়িতে সন্ধ্যায় ফের চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বাড়িতে। মঙ্গলবার সকালেও চলে হামলা। আশেপাশে থাকা তৃণমূল কর্মীরা ঠেকাতে এলে তাঁদেরও মারধর করা

হয়। দুই জন ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। এলাকার কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত তপন বাগদির স্ত্রী পদ্মা বাগদি বলেন, “ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের লোকজন ভাঙচুর চালিয়েছে। আমার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করে। ভাঙচুর চালানো হয় ঘরে। আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি।”

এদিন সকালে দুই পক্ষের মধ্যে পাথর বৃষ্টিও হয়। বিজেপির জেলা সহ- সভাপতি রমণ শর্মা বলেন, “বালি ঘাটের দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব।” যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুই তিন দিন ধরেই পাড়ার মধ্যে বিবাদ চলছিল। সংক্রান্তির দিন অতিরিক্ত মদ্যপান করার ফলেই বিবাদ চরম আকার নেয়। এই বিবাদকে অন্য দিকে ঘোরাতে চাইছে বিরোধীরা। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ খতিয়ে দেখছে।”

খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল দুর্গাপুরের এসিপি (কাঁকসা) সুমনকুমার জয়সওয়াল বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, “পাড়াগত কোনও বিবাদ। অভিযুক্তরা সবাই পালিয়েছে। কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”