রাজ্যSBN DIGITAL: স্ত্রী খুনে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

SBN DIGITAL: স্ত্রী খুনে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

SBN DIGITAL: স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত এলাকায় মাটিতে পুঁতে রেখেছিলেন স্বামী! সেই জায়গায় বাড়িও নির্মাণ করে স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করায় শেষরক্ষা হয়নি। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন স্বামী। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর এই ঘটনার কথা কবুল করেছিলেন স্বামী। ধৃত ব্যক্তির চিহ্নিত করা এলাকা থেকে একটি মাথার খুলি এবং বেশকিছু হাড়গোড় উদ্ধারও করে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।    ২০১৫ সালের রহস্যজনক সেই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা দায়রা আদালত। গত শনিবারই অভিযুক্ত স্বামী মুকুলচাঁদ সেনকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালত। সোমবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল বাপের বাড়িতে আসার নাম করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন পুজা বাউরি। পুজা বাঁকুড়া সদর থানার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা। পূজার বিয়ে হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানে শক্তিগড়ের বেলনা গ্রামের বাসিন্দা মুকুলচাঁদ সেনের সঙ্গে। স্ত্রী নিখোঁজের পর মুকুলচাঁদ দাবি করছিলেন, বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে আর ফেরেনি পূজা।   একসপ্তাহ ধরে ঘরের মেয়ে ঘরে না ফেরায় মুকুলের এহেন দাবিতে সন্দেহ হয় পুজার বাপের বাড়ির লোকজনের। তাঁরা ওই বছরেরই ১৪ এপ্রিল বাঁকুড়া মহিলা থানায় স্বামী মুকুলচাঁদ সেন, শ্বশুর পীরু সেন, শাশুড়ি শ্যামলী সেনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মুকুল গা-ঢাকা দেওয়ায় প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় পূজার শ্বশুর, শাশুড়িকে। পরে ২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশান ট্র্যাক করে গ্রেপ্তার করা হয় মুকুলচাঁদকে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জেরায় ধৃত ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন।   এরপর খুনের মামলা শুরু করে ২০১৭ সালে পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছিল আদালতে। আদালত ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠন করে। এই ঘটনায় মোট ৩৪ জনের সাক্ষ্য সংগ্রহ করে আদালত। আদালতে বিচার চলাকালীনই মৃত্যু হয়েছিল শ্বশুরমশাই পীরু সেনের। সোমবার বাঁকুড়া জেলা দায়রা বিচারক মনোজিৎ ভট্টাচার্য অভিযুক্ত স্বামী মুকুলচাঁদ সেনকে যাবজ্জীবনের সাজা শোনান।