Top Newsচোরাশিকারিদের ঠেকাতে বনবিভাগে ফিরছে নাইট পেট্রোলিং

চোরাশিকারিদের ঠেকাতে বনবিভাগে ফিরছে নাইট পেট্রোলিং

SBN: পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বনাঞ্চল ঠিক কেমন? ছোট, ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ীরা রাতে কীভাবে জঙ্গলে বিচরণ করে? চোরাশিকারি কিংবা কাঠ চোর বা মাফিয়ারা জঙ্গলের কোনও ক্ষতি করছে না তো? কোনওভাবে বিপন্ন হচ্ছে না তো বন্যপ্রাণ? পুরুলিয়া বনবিভাগ মুন লাইট ডিউটি শুরু করে ঠিক পুলিশের ধাঁচেই জঙ্গলমহলের এই জেলায় নাইট পেট্রোলিং ফিরিয়ে আনছে। সেই সঙ্গে একেবারে পুলিশের মতোই ফি মাসে ক্রাইম কনফারেন্স-র অনুকরণে প্রোটেকশন কনফারেন্স চালু হচ্ছে। অর্থাৎ নিজেদের কাজ রীতিমতো মূল্যায়ন করে সেই সঙ্গে ঘাটতি মিটিয়ে জঙ্গল এবং বন্যপ্রাণ সুরক্ষায় আরও নিবিড়ভাবে মিশে থাকা। পুরুলিয়া বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, একেবারে আগামী মাস থেকেই রীতিমতো মডিউল তৈরি করে পুরুলিয়া বনবিভাগে ফিরছে এই নাইট পেট্রোলিং। সেই সঙ্গে প্রোটেকশন কনফারেন্স সহ মুন লাইট ডিউটি। এই অভিনব কাজের একটা বড় অংশই বুধবার রাতে সম্পন্ন করে পুরুলিয়া বনবিভাগ। প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত জঙ্গল পথে হেঁটে মুনলাইট ডিউটিতে অংশ নেন ডিএফও, এডিএফও পদমর্যাদার আধিকারিক থেকে বিভিন্ন রেঞ্জার-সহ বনকর্মীরা।
পুরুলিয়া বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী পূর্ণিমা থেকে এই মুনলাইট ডিউটি আরও সুসংহত ভাবে রূপায়িত হবে। জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ সুরক্ষায় এই সমগ্র মডিউল পুরুলিয়া বনবিভাগের এডিএফও সায়নী নন্দীর তত্ত্বাবধানে রূপায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, “পুলিশের মতো বনদপ্তরেও নাইট পেট্রোলিং রয়েছে। এটা সেভাবে নতুন কিছু নয়। এই বিষয়টি অতীতে সেভাবে সম্পন্ন হয়নি। তাই আমরা সুসংহতভাবে আবার নাইট পেট্রলিং ফিরিয়ে আনছি। সেই সঙ্গে ক্রাইম কনফারেন্সের ধাঁচে প্রোটেকশন কনফারেন্স যেমন হবে, তেমনই জ্যোৎস্নার আলোয় বনাঞ্চলের সৌন্দর্য কতটা? চাঁদের আলোয় জঙ্গল কেমন? এসব কিছু চোখের সামনে দেখতে মুনলাইট ডিউটিও চলবে।” যদিও গত বুধবার পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ-র উপস্থিতিতে ঝালদা বনাঞ্চলের খামার থেকে কোটশিলা বনাঞ্চলের মুরগুমা, আড়শা বনাঞ্চলের বামনি, অযোধ্যা হয়ে বাঘমুণ্ডি। রীতিমতো নাইট ট্রেল চলে বনদপ্তরের। পুরুলিয়া বনবিভাগ চাইছে, রাতেও বনাঞ্চলের মানুষজনদের পাহারাদার হয়ে রীতিমতো রাত জেগে পরিষেবা দিতে। ঝাড়খণ্ড ছুঁয়ে থাকা এই জেলায় বেশ কয়েকটি বনাঞ্চল হাতি উপদ্রুত হওয়ায় রাতে ডিউটি করা এখানকার বনকর্মীদের নিত্যদিনের ঘটনা। তারই বৃহৎ অংশ হিসেবে নাইট পেট্রোলিং। সেই সঙ্গে অন্যভাবে জঙ্গলকে চিনতে মুন লাইট ডিউটি। রাতের অন্ধকারে যাতে জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ বিষয়ে কোনো রকম অপরাধ সংঘটিত না হয় সেই কথা মাথায় রেখেই এই নয়া পরিকল্পনা। যে এলাকায় আধিকারিক থেকে কর্মীরা নাইট পেট্রোলিং-এ অংশ নেবেন। সেখানকার অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ নিয়ে দপ্তরে রিপোর্ট করতে হবে। সেই রিপোর্ট থেকেই বোঝা যাবে কোথায় নাইট পেট্রোলিং বেশি হচ্ছে।