SBN: সম্প্রতি পুলিশকে হুমকিকাণ্ডে ‘প্রিয়’ কেষ্ট দা-কে সমর্থন জানিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ । সঙ্গে দাদার অনুপ্রেরণায় দিয়েছিলেন শাসানিও। তার সেই কাজের জন্য ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে দল। এবার সেই বিক্রমজিৎ-কে নোটিশ পাঠাল পুলিশ। আগামীকাল থানাতে হাজিরা দিতে হবে তৃণমূলের ‘বহিষ্কৃত’ ছাত্র নেতাকে। এদিকে এমন গুণধর ছেলেকে নিয়ে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে বাবার।
বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের পর যখন বিতর্কে অনুব্রত মণ্ডল, সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যালেঞ্জ করে বিক্রমজিৎ আইসিকে বলেন, ‘তুমি একটা আইসি, সরকারি কর্মচারী, পারলে আমার নামে কেস করো। তুমি যে অন্যায় করেছ, তার শাস্তি তোমাকে বীরভূমেই পেতে হবে। আমি লিটন হালদার নাম নিয়ে বলছি, তোমার দম থাকলে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে, বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামে এফআইআর করে দেখিও। তুমি জানো, তুমি দুর্নীতিপরায়ণ। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আছে। তুমি যদি ভাবো ডালে ডালে চলবে, তোমাদের শিরায় উপশিরায় আমরা চলি।’
অনুব্রতকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েই আপাতত দায় সেরেছে তৃণমূল। পুলিশও দুবার তলবের নোটিশ দিয়েছে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। যদিও অসুস্থতার কথা বলে সেই নোটিশ মেনে হাজিরা দেননি অনুব্রত। তারপর থেকে চুপ করে গিয়েছে পুলিশও। তবে বিক্রমজিতের ক্ষেত্রে তৃণমূল শিবির কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। সঙ্গে সঙ্গে বিক্রমজিৎ-কে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার কাছে পুলিশের নোটিশও পাঠানো হয়েছে। এখন দেখার ওই ছাত্রনেতা আদৌ পুলিশের নির্দেশে থানায় হাজিরা দেন কিনা। নাকি তার নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মতো হাজিরা এড়িয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন।
অন্যদিকে, ছেলের এহেন কাণ্ডে ভীষণভাবে লজ্জিত বিক্রমজিৎ-এর বাবা বিদ্যাসাগর সাউ। বিদ্যাসাগর বাবু সিউড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। কার্যত বিরক্তির সুরে তিনি বলেন, ‘আমি বাবা হিসেবে ব্যর্থ। আমার লজ্জা, ছেলেকে আমি শালীনতা শেখাতে পারিনি। আমি ওই অফিসারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
Birbhum News: তৃণমূলের ‘বহিষ্কৃত’ ছাত্রনেতাকে নোটিশ দিল পুলিশ
