Top Newsরেলের বিরুদ্ধে রাস্তা বন্ধের অভিযোগ, খড়গপুরে তুলকালাম

রেলের বিরুদ্ধে রাস্তা বন্ধের অভিযোগ, খড়গপুরে তুলকালাম

খড়গপুর: ফের রেলকে পিছু হটতে হল রেলনগরী খড়গপুর শহরে। রেল কর্তৃপক্ষের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবারে পথে নামলেন রেলকর্মীদের পরিবারের মহিলারা। তাঁরা ভেঙ্গে দিলেন রেলের একটি রাস্তায় হঠাৎ করে ঘিরে দেওয়া একটি পাঁচিল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গিয়েছে শনিবার রেলনগরী খড়গপুরের সাউথ সাইড এলাকায়। এখানে রেল কর্তৃপক্ষ রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব ও অফিসার্স অতিথি ভবনের মাঝে একটি রাস্তার উপর কোনও রকম আগাম ঘোষণা ছাড়াই একটি পাঁচিল তুলে দেয়। ফলে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় খড়গপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদমারি ও লাগোয়া এলাকার মানুষজনকে। কারন এই রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে মানুষজন যাতায়াত করে আসছেন।এই রাস্তাটি  দিয়ে খুব কম সময়ে সাউথ সাইড এলাকা হয়ে শহরের চাঁদমারি সহ ঝাপেটাপুর এলাকায় যাওয়া যায়। এই রাস্তা দিয়েই সকালে রেলকর্মীদের পরিবারের সন্তানদের অভিভাবকরা সাউথ সাইড এলাকায় অবস্থিত দুটি বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া আসা করেন। ফলে হঠাৎ করে বিনা নোটিশে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকায়। শনিবার সকালে রেলকর্মীদের পরিবারের মহিলারা সহ এলাকার অন্যান্য মহিলারা শাবল,গাঁইতি ,হাতুরি নিয়ে হাজির হয়ে যান। খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূলের কাউন্সিলর রোহন দাস সহ প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার, কাউন্সিলর ফিদা হোসেন সহ আরও অনেক তৃণমূলের নেতা কর্মীরা হাজির হয়ে যান। এমনকি সেখানে বিজেপির কিছু কর্মীও হাজির হয়ে যান। সকলেই রেলের এই ভূমিকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারপরেই শুরু হয় পাঁচিল ভাঙ্গার কাজ। খবর পেয়ে আরপিএফের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাঁরা বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরপিএফ লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে আরপিএফ বিজেপির চার কর্মীকে আটক করে। এইভাবে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টানাপোড়েন চলতে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত এই পাঁচিল তুলে দেওয়ার ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ কোনও লিখিত অর্ডার দেখাতে না পেরে সাধারন মানুষের দাবির কাছে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পাঁচিলের একাংশ ভেঙ্গে বাইক ও সাইকেল চলাচলের মত খুলে দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে খড়গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বর্তমান কাউন্সিলর প্রদীপ সরকার বললেন ” রেল পুরোপুরি স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের কোনও আলোচনা না করে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এইভাবে রাস্তা ঘিরে দিচ্ছে।” অপরদিকে রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম তথা জনসংযোগ আধিকারিক নিশান্ত কুমার জানিয়েছেন রেল নিজের জায়গায় কাজ করতেই পারে।