রাজ্যKGP: রাস্তার হাম্প ভাঙায় বাড়ছে দুর্ঘটনা, রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ খড়গপুরে

KGP: রাস্তার হাম্প ভাঙায় বাড়ছে দুর্ঘটনা, রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ খড়গপুরে

SBN NEWS: গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর খড়গপুর আইআইটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এসেছিলেন। সেই সময় কনভয়-সহ রাষ্ট্রপতির গাড়িকে মসৃণভাবে পৌঁছানোর জন্য প্রোটোকল অনুযায়ী রেলনগরী খড়গপুর শহরের নিমপুরা থেকে খড়গপুর আইআইটি পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তায় থাকা সমস্ত বাম্পার বা হাম্প ভেঙে ফেলে সমান করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, কিন্তু দেড় মাস পার হয়ে গিয়েছে। অথচ এখনও এই সাত কিমি রাস্তার একটি হাম্প ফের নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয় নি। ফলে এই রাস্তায় এখন পথ দুর্ঘটনা নিত্য ঘটছে। এই রাস্তার উপর বিভিন্ন জনবহুল এলাকা সহ বিদ্যালয়ের সামনে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে বেশ কয়েকটি বাম্প তৈরি করা হয়েছিল বেপরোয়াভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল নিমপুরা কনক দুর্গা মন্দির, হনুমান মন্দির, আর্য বিদ্যাপীঠ, পিএনকে পরিষদ, উৎকল বিদ্যাপীঠ, খড়গপুর টাউন থানা, সিএমই গেট এলাকার ধোবিঘাট। এছাড়া আরও কিছু এলাকায় বাম্প ছিল। আর এই গোটা রাস্তাটি রেল কর্তৃপক্ষের অধীনে। এই বাম্পগুলি ফের তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রেল এই ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয় নি বলে অভিযোগ। ফলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেল এই ব্যাপারে পুরোপুরি উদাসীন হয়ে রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত রাস্তায় বাম্পগুলি রেল কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছিল বেপরোয়া গতির বলি আটকাতে। আর এই বাম্পগুলি থাকায় পথ দুর্ঘটনা অনেক কমে গিয়েছিল। যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এসেছিল। এখন বেপরোয়াভাবে যান চলাচল বেড়ে গিয়েছে। এই ব্যাপারে মথুরাকাটি এলাকার বাসিন্দা পি সুন্দর রাও বলেন, “রেলের উচিত অবিলম্বে পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে | পুনরায় বাম্পগুলি তৈরি করে দেওয়া।” আর এই বাষ্প না থাকার কারণেই বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিমপুরা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বি রমেশ কুমার। একই বক্তব্য এই রাস্তার ধারে অবস্থিত খড়গপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের। পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সি এইচ বিষ্ণুপ্রসাদ বলেন, “এক মাসের উপর হয়ে গেল। রেল নিমপুরা রোডের উপর সরিয়ে ফেলা বাম্পগুলি নতুন করে তৈরি করে দেয় নি। আর এরজন্য দুর্ঘটনা নিত্যদিন ঘটছে। অনেকে জখম হচ্ছেন। রেলের উচিত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা।” পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বানতা মুরলীর বক্তব্য, “বাম্পগুলি রেল কেন তৈরি করে দিচ্ছে না বুঝতে পারছি না। আর এর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে।” রেলের খড়গপুরের ডিআরএমকে চিঠি দেবেন বলে জানালেন খড়গপুরের পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ। তিনি বলেন, “পুরো রাস্তাটি রেলের। সুতরাং নতুন করে বাম্পগুলি তৈরি করার দায়িত্ব তাদের। বিষয়টি নিয়ে ডিআরএমকে একটা চিঠি দেব। কারণ এই রাস্তায় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা হচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে খড়গপুর শহরের মানুষের।” অপরদিকে রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম তথা জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।”