SBN Digital: তেলঙ্গানার হায়দরাবাদের সূর্যপেট জেলার একটি সোনার দোকানে এক মাস আগের একটি ডাকাতির ঘটনায় এবার মালদহের রতুয়া থেকে ধরা পড়ল এক অভিযুক্ত। ধৃতের নাম জসিমুদ্দিন (২২)। তাঁর বাড়ি রতুয়ার চাঁদমনি অঞ্চলের বাটনা গ্রামে। তাকে ধরতে মালদহে এসে চারদিন ধরে ওত পেতে বসেছিল হায়দরাবাদ পুলিশ। রতুয়া থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়িতে তল্লাশির সময় অন্তত আধা-কেজি সোনার গয়না ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। ধৃতকে মালদহ আদালতের নির্দেশে ট্রানজিট রিমান্ডে হায়দরাবাদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তেলেঙ্গানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সূর্যপেট জেলার সন্তোষী জুয়েলারিতে ২১ জুলাই রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গ্যাস কাটার দিয়ে শৌচাগারের গ্রিল কেটে এবং শৌচালয়ের দেওয়াল ভেঙে দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকে প্রায় আড়াই কেজি সোনার অলঙ্কার ও নগদ টাকা লুঠ করে চম্পট দেয়। ওই রাজ্যের পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে খাম্মাম থেকে ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা যশোদাকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে কিছু সোনা উদ্ধার করে। তার স্বীকারোক্তি থেকে নেপাল এবং পশ্চিমবঙ্গের সন্দেহভাজনদের মধ্যে সাত সদস্যের একটি চক্রের খবর পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদ পুলিশ ১১ আগস্ট এই রাজ্যে এসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাইহোর গ্রামের বাসিন্দা মালিক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। মোল্লার বাড়ি থেকে নেপালি নাগরিক অমর ভট্টকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫৫৪ গ্রাম সোনার অলঙ্কার এবং নগদ ৮৭,৫০০ টাকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের ধৃত মোল্লা পুলিশের জেরায় চারজনের নাম জানায়। তাদের মধ্যে তিনজন নেপালের নাগরিক।
প্রকাশ অনিল কুমার, কাদক সিং ও পুরান প্রসাদ যোশি। সেই সঙ্গে মালদহের রতুয়ার জসিমুদ্দিনের নামও পুলিশকে জানায় ধৃত মালিক মোল্লা। এবার মালদহ থেকে জালে পড়ল জসিমুদ্দিনও। ঘটনায় নেপালের তিন নাগরিক এখনও পলাতক বলে তেলেঙ্গানা পুলিশ জানিয়েছে। তাদের খোঁজে বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।
সোনার দোকানে ডাকাতি,একের পর এক গ্রেপ্তার
