Top NewsEXCLUSIVE: একই ব্যক্তির দুই বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম, সবংয়ে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক...

EXCLUSIVE: একই ব্যক্তির দুই বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম, সবংয়ে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে সরগরম রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি৷ এই আবহে দুটি বিধানসভা এলাকার ভোটার তালিকায় একই ব্যক্তির নাম উঠে এল৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং বিধানসভায় এলাকার ঘটনা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জানা গিয়েছে, সুশান্ত দে ও তার স্ত্রী মিনু বরম দে। দু’জনেই সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। সবং-২২৬ নম্বর বিধানসভা কেন্দ্রের দেভোগ অঞ্চলের ভিকনী বাটিটাকী ৭নং বুথ এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকায় দুজনেরই ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। অন্যদিকে কেশপুর বিধানসভার অন্তর্গত তেঁতলা বুথ এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে সুশান্ত ও তার স্ত্রী মিনুর। যদিও ভোটার তালিকায় নাম থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন সুশান্ত দে। তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি সবং ব্লকের দেভোগ অঞ্চলের ভিকনী বাটিটাকী ৭নং বুথ এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু ১৫ বছর ধরে কেশপুরে থাকি। দু’ই জায়গাতে ভোটার কার্ড আছে। কেশপুরে ভোটের সময় ভোট দেই। সবং এলাকায় ভোটার কার্ড না বাদ দিলে আমি কি করবো? BLO কবিতা প্রমাণিক জানিয়েছেন, উনি শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। তাঁর বাড়ির লোক বলেছেন সুশান্ত দে ভোট দিতে আসেন। তাই ভোটার কার্ড আছে। হ্যাঁ উনি এখানে ভোট দেন। তাই আমরা করিনি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তির একটিমাত্র ভোটার কার্ড থাকতে পারে। কিন্তু কারও কাছে যদি দুই বা ততোধিক ভোটার কার্ড থাকে তাহলে বিপদে পড়তে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। একের বেশি ভোটার কার্ড থাকলে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে। এরপরেও  ভোটার কার্ড নিয়ে গাফিলতি? ঘটনায় BLO দের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে এই নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের মদতে এইসব হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অমূল্য মাইতি দাবি, বাংলার প্রতিটি বিধানসভায় একাধিক বুথে অনেকের দুটো করে ভোটার কার্ড রয়েছে। এমনকি মৃত ভোটারও রয়েছে। ভিকনী বাটিটাকী ৭নং এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত দে ও তার স্ত্রী মিনু বরম দে। এদের স্বামী-স্ত্রীর সবং বিধানসভা কেন্দ্র এবং কেশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার কার্ডের নাম রয়েছে। সবং ব্লকে এরকম একাধিক ভোটার লিস্ট রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল মদত করে কিছু BLO-কে নিযুক্ত করেছে। তারা ভোটার লিস্ট সংশোধন করছে না এবং বাদ দিচ্ছে না। এটা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ করা হয়েছে কিন্তু সুরা হয়নি। এগুলো সম্পূর্ণ শাসক দলের মদতে হচ্ছে। 
পাল্টা ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, বিজেপি আবার একটি মিথ্যে তথ্য খাড়া করে পাড়া মাথায় করার চেষ্টা করছে। বিজেপি বলছে সবং এর একটি ছেলে কেশপুরের সঙ্গে সবং বিধানসভা এলাকায় নাম আছে। ১৪ জায়গায় ভোট দেয়। কিন্তু গুজরাট থেকে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি মারদাঙ্গা করে ভোটে জিতে বিজেপি এটা কোথায় বলছে না? মহারাষ্ট্রে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে এটাও বলছে না বিজেপি। অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে ভোটার তালিকায় কাজ কারচুপি করে হারানো হয়েছে। বিহার থেকে বাংলায় সেই চেষ্টা চলছে। বাংলায় ভোটার তালিকায় নাম বাদ দিয়ে দেওয়া এটা বিজেপি বলছে না। বিজেপি তার মিথ্যে ষড়যন্ত্র প্রকাশ করার জন্য এই সমস্ত ভুয়া তথ্য সাজানো হচ্ছে। এবং কিছু প্রচার মাধ্যম দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। যদি ভোটার তালিকায় কারো দুই জায়গায় নাম থাকে সেটা কেটে দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশনের। সম্মান জানিয়ে বলছি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যদি দায়িত্ব পালন করে কোন মানুষের কিছু করার থাকবে না। কিন্তু উনি দায়িত্ব পালন করার নাম করে বিজেপির হাতে তামাক খাবেন এবং কেন্দ্রের যোগসাজশে করবেন। এটা আমরা মানবো না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এর বিরুদ্ধে লড়াই হবে।