Top NewsExclusive: বাংলাদেশ থেকে ফিরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার...

Exclusive: বাংলাদেশ থেকে ফিরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার সৈরিশ ও দেবজিৎ

নিজস্ব প্রতিনিধি: একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গুলি-বোমার শব্দে কান পাতা দায়। রীতিমতো প্রাণ হাতে করে ফিরতে হয়েছে দেশে। অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ফিরে নিজেদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের মালিগ্রামের দুই মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে আন্দোলনের কারণে উত্তাল বাংলাদেশ। যদিও বর্তমানে সেই আন্দোলনের আঁচ কিছুটা কমলেও এখনও সেই আতঙ্কের দিনগুলো ভুলতে পারছে না বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া পিংলার মালিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা সৈরিশ পন্ডিত ও দেবজিৎ মাইতি। সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা ভাবলেই শিহরিত হয়ে উঠছেন। বাড়ি ফেরার পর ছেলের আতঙ্ক কাটালেও বাবা-মার আতঙ্কে এখনো কাটেনি।

গতকাল রবিবার নিজেদের জীবন বাজি নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের উদ্দেশ্যে বাড়ি রওনা দিয়েছিল। সোমবার পিংলার মালিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সৈরিশ পন্ডিত ও আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল দেবজিৎ মাইতি নামে দুইজন ডাক্তারি পড়ুয়া। কিন্তু বাড়ি ফিরলেও চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। এদিন নিজের বাড়িতে বসে সেই দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সৈরিশ পন্ডিত নামে দুইজন ডাক্তারি পড়ুয়া বলেন, হঠাৎই কলেজে ক্লাস করার সময় অশান্তির খবর কানে আসে।

তারপর থেকেই রাতের ঘুম উড়ে যায় শুভজিৎ সহ হস্টেলে থাকা অন্যান্য ছাত্রদের। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোমা-গুলির শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে গিয়েছে। সৈরিশ পন্ডিত আরো জানায়, কলেজ থেকে দেখতে পাচ্ছি গুলি ছড়াছড়ি হচ্ছে। তাদের সিনিয়র এক দাদার কানেও গুলি লেগেছে। কলেজের হোস্টেলে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু বন্ধ। নেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে বাবা-মার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি।

সৈরিশ পন্ডিতের মায়ের অভিযোগ, টেলিভিশনের খবর দেখার পর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ছেলের চিন্তায় খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুম হয়নি। ফোনে বারবার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে। তাঁর অভিযোগ, বাড়ি ফেরার জন্য বাংলাদেশ-আমাদের সরকার ছেলেদের ফেরানোর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সেরকম সাহায্য মেলেনি। যতদিন না পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত হচ্ছে ততদিন ছেলেকে বাংলাদেশ পাঠাতে ভীত সন্ত্রস্ত হচ্ছে পরিবার। অন্যদিকে, ছেলে বাড়ি ফেরায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন দেবজিৎ মাইতির বাবা মৃগাঙ্কর মাইতি।