SBN NEWS: শালবনী থানা ভাদুতলা এলাকায় কালভার্ট থেকে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরের দিনই তাঁর বাড়িতে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য দিয়ে এসেছেন তিনি। পারলৌকিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে মৃতের মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। মৃত মিঠুন খামরুই বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী এবং বুথ সম্পাদক ছিল বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “২০১৮ সাল থেকে বিজেপি করে। মিঠুনের বাবা রাম খামরুই একজন দক্ষ সংগঠক এলাকায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল তার মা। তারপর থেকে তাদের উপরে অত্যাচার শুরু হয়। ঘরছাড়া হয়ে থাকতে হয়েছিল। এই মৃত্যুর পিছনে রাজনীতি রয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি এখনও। পুলিশ শুধু ব্যস্ত রয়েছে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে। চাই সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ।” এদিকে বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার ভাদুতলা এলাকায় মিঠুন খামরুই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ভাদুতলা থেকে কর্নগড় যাওয়ার রাস্তায় একটি কালভার্টের নিচ থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ভাদুতলা এলাকায় সোমবার একটি মেলা ছিল, সেখানেই মিঠুন খামরুই গিয়েছিলেন এবং তারপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে কালভার্ট এর নিচ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই। বাস্তবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা উঠে আসা দরকার। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বিষয়টি। আদৌ কর্মী ছিল কিনা তার প্রমাণ দিক বিজেপি। বিজেপির নেতৃত্বে থাকা কোন ভিডিও থাকলে তা প্রকাশ করে দেখাক। তৃণমূল খুনের রাজনীতি করে না। বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকট।”