বালিশ চাপা দিয়ে বাবাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ ছেলের

SBN Digital: অত্যধিক মাথাগরম, সঙ্গে নেশায় আসক্ত ছেলে। এই কারণে বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত তার। এমনই অশান্তির পরে গভীর রাতে ঘুমন্ত বাবার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল গুণধর ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর থানার ২৪ নম্বর শিশিরকুমার রোড এলাকায়। মৃতের নাম ললিত অধিকারী (৭৪)। তাঁর ছেলে বছর বাহান্নর গৌতম এই কাণ্ড ঘটানোর পর নেশা কেটে হুঁশ ফিরতেই বুধবার সকালে সটান থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। সে পুলিশকে জানিয়েছে, বয়সজনিত সমস্যার কারণে বৃদ্ধ বাবা তাকে বিরক্ত করতেন। সেই কারণেই সে খুন করেছে। তৎক্ষণাৎ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ধৃতের বয়ান যাচাই করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ললিতের চকোলেট তৈরির কারখানা ছিল। কিন্তু বয়সজনিত কারণে কারখানা চালাতে না পেরে সেটা ভাড়ায় দিয়ে দেন তিনি। তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়ে। মেয়ে রেণু বিবাহিত। ছেলে গৌতম অধিকারী পেশায় অটো চালক। হাওড়ার বালির শ্বশুরবাড়িতেই থাকত সে। মাঝেমধ্যে বরানগরের বাড়িতে বাবার কাছে এসেও থাকত। নেশার জন্য বাবার কাছে সে টাকা চাইত বলেও অভিযোগ। গত এক মাস ধরে বাবার কাছেই থাকছিল গৌতম। তার স্ত্রী আসা-যাওয়া করতেন। অভিযোগ, অত্যধিক মাথাগরম গৌতমের, সঙ্গে নিয়মিত নেশা করত সে। এই কারণে সামান্য কোনও বিষয় নিয়ে বাবার সঙ্গে তার মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতেই প্রচুর নেশা করেছিল গৌতম। তখনই কোনও বিষয় নিয়ে বাবার সঙ্গে তার অশান্তি হয়েছিল। শেষে বৃদ্ধ বাবা নিজের বিছানাতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ, গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থাতেই আক্রোশে বাবার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। খবর পেয়ে চলে আসেন নিহতের মেয়ে রেণু। তিনিই ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে জানান, “ভাই অত্যধিক নেশা করত। নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই ভাই বালিশ চাপা দিয়ে বাবাকে খুন করেছে।”