দেশSupreme Court: সিঙ্গুর মামলায় টাটা গোষ্ঠীকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে...

Supreme Court: সিঙ্গুর মামলায় টাটা গোষ্ঠীকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে রাজ্যকে

SBN Digital: সিঙ্গুর মামলায় টাটা গোষ্ঠীকে দিতে হবে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ। শুক্রবার ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি নরসিংহ ও বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের ডিভিশন বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালত রাজ্যকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, সিঙ্গুর মামলায় এদিন সুপ্রিম কোর্টে ট্রাইব্যুনালের এক সদস্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল। আদালতে এদিন সিব্বাল দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালের এক বিচারপতি টাটা গোষ্ঠীর আমন্ত্রণে ১৫ বার নাগপুরে যেতে দেখা গিয়েছে। যদিও তিনি আরবিট্রেশন পর্বের পরে আমন্ত্রণ পেয়েও যাননি। সিব্বল আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদ্বয়। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, যদি সিব্বলের  অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়, তবে রাজ্যকে বড়সড় জরিমানা করা হবে। এরপরেই তীব্র অস্বস্তির মুখে পড়েন রাজ্যের এই আইনজীবী। বিপদ বুঝতে পেরে অবশেষে, নিজের জমা দেওয়া নথিপত্র ফেরত নিতে চান সিব্বল। তখনই বেঞ্চের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। একপ্রকার গর্জে ওঠে আদালত: “বিশ্বাসযোগ্যতা ও আইনি নৈতিকতার প্রশ্নে এমন পদক্ষেপ কাম্য নয়।”এদিন ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয় টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতেই হবে ৭৬৬ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বাম আমলে টাটা মোটরসের একলাখি ন্যানো  গাড়ির কারখানা ও অনুসারী শিল্পের জন্য সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার। কৃষিজমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ জানিয়ে তীব্র আন্দোলন শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। সিঙ্গুরে কাজও শিল্প গঠনের কাজও শুরু করে দিয়েছিল টাটারা। কিন্তু তৃণমূলের আন্দোলনের চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হয় টাটারা। সেই আন্দোলনই ২০১১-র পরিবর্তনের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে কারখানা না হওয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয় টাটাগোষ্ঠীর। ক্ষতিপূরণ চেয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করে তারা। বিষয়টি গড়ায় আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে। সেখানেই রাজ্যের বিরুদ্ধে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য, কিন্তু শুক্রবার তা খারিজ হয়ে যায়। এই রায় নিয়ে বিরোধীদের একাংশ বলছে, “আন্দোলনের রাজনীতি করে রাজ্য আজ জনমানসে মুখ পুড়ল, আর মোটা টাকাও দিতে হবে।” তবে শাসকদলের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।