SBN Digital: ছাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া, অশ্লীল স্পর্শ। কখনও আবার চিমটি কাটা! শ্রেণিকক্ষেই চলে এমন কান্ডকারখানা। স্কুলশিক্ষকের এমন আচরণের বিরুদ্ধে এবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ছাত্রীরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। আর এই বিষয়টি ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষককে শো-কজ করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত শিক্ষক। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের মানিকচকে। শোরগোল পড়ে গিয়েছে মানিকচক ব্লকের পশ্চিম নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী পুলিশ প্রশাসনের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে শো-কজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। পশ্চিম নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক অমিত রজকের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা। ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক তাদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেন। এমনকি একাধিক ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেন। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা করে আসছেন শিক্ষক। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা বুঝতে পারে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই শিক্ষক এই ধরনের কাজ করছেন। তাই ছাত্রীরা অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র মজুমদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীরা। পাশাপাশি ভূতনি থানার পুলিশের কাছে শিক্ষকের উচিত শাস্তির দাবি নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছে ছাত্রীরা। অভিযুক্ত শিক্ষক অমিত রজকের দাবি, অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি সন্তান সুলভচোখেই দেখেন।
পিতৃ সুলভ আচরণ নিয়েই পড়া না পারলে তাদের বকা দেওয়া হয়। দু’চার কথা বলা হয়। কিন্তু কোনও রকম খারাপ চিন্তা তাঁর মাথায় আসেনি। হয়তো সেগুলিই ছাত্রীদের খারাপ লেগেছে, তাই তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের শোকজের জবাব তিনি দেবেন বলেও জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, ছাত্রীদের তরফে অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। পরিচালন সমিতিকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। দ্রুত তার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে যদি দোষী হন তাহলে প্রশাসন নিজের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।
ছাত্রীদের ‘যৌন হেনস্থা’, শো-কজ অভিযুক্ত শিক্ষক
