Top Newsতৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো খড়গপুর কলেজ, আহত... তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো খড়গপুর কলেজ, আহত ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: কলেজে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ এখন নেই। তবে ছাত্র সংসদ কার্যালয় ব্যবহার করা হয় সাংগঠনিক কাজের জন্য। আর এই ছাত্র সংসদ কার্যালয় কার দখলে থাকবে সেই নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খড়গপুর কলেজের বাইরের চত্বর। বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের চারজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে এক প্রস্থ বচসা ও ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় কলেজ চত্বরের ভেতরে ছাত্র সংসদ কার্যালয়ে। পরে সেই দ্বন্দ বাইরে সংঘর্ষের আকার নেয়। দ্বন্দ মূলত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের খড়গপুর কলেজ ইউনিটের সভাপতি রোহন দাসের গোষ্ঠীর সঙ্গে সহ সভাপতি শেখ জামির ও শেখ আমনের গোষ্ঠীর। এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এইদিন খড়গপুর কলেজের বাইরের চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ এই সংঘর্ষের সময় রড থেকে শুরু করে লাঠি সহ অন্যান্য অস্ত্রের দেদার ব্যবহার হয়েছে। আর বহিরাগতরা এইদিনের গন্ডগোলে বড় ভূমিকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে খবর পেয়ে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও পুলিশের সামনেই কলেজ গেটের সামনে এক দফা মারপিট হয়। এক গোষ্ঠীর নেতা ও কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়। পরে অবশ্য পুলিশ কঠোর হাতে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রসঙ্গত খড়গপুর কলেজে বহিরাগতদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ বহু দিন ধরে উঠছে। আর এই বহিরাগতদের কলেজের ভেতরে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে কার্যত অসহায়তা প্রকাশ করলেন কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সামন্ত। এই ব্যাপারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের খড়গপুর কলেজ ইউনিটের সভাপতি রোহন দাস বললেন ” কলেজের ছাত্র সংসদের কার্যালয় অত্যন্ত নোংরা হয়ে থাকত। আমরা আগেই কার্যালয় পরিষ্কার করার জন্য অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে অনুরোধ করেছিলাম। যদিও সেই অনুরোধ রাখা হয় নি। এইদিন আমরা ইউনিয়ন রুমে ঢোকার পর আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। জায়গা ছাড়তে বলা হলে আমাদের উপর চড়াও হয়। সেই নিয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। তারপর বাইরে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আমাদের একজনকে মারধর করা হয়। তখন আমরাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলি। তখন ঝামেলা বেঁধে যায়। আমাদের কয়েকজন জখম হয়েছেন।” অপরদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের খড়গপুর কলেজ ইউনিটের সহ সভাপতি শেখ আমন বললেন ” আমরা ইউনিয়ন রুমে বসেছিলাম। এই রুমে কিছুদিন আগে আলো লাগিয়েছি। পরিষ্কার করেছি। বিজেপি থেকে সংগঠনে আসা রোহন দাস হঠাৎ করে এইদিন বহিরাগতদের নিয়ে ইউনিয়ন রুমে ঢুকে আমাদের উপর চড়াও হয়। রড,পাথর নিয়ে হামলা করে। তাতে আমাদের দুজন জখম হয়েছেন। আমরা কোনও গন্ডগোল করি নি। ওরাই প্রথমে শুরু করে।” এদিকে কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সামন্ত বললেন ” কিছু গন্ডগোল হয়েছিল। পুলিশ এসে মিটিয়ে দিয়েছে। তবে ইউনিয়ন রুমে ভাঙ্গচুর করা সম্পর্কে কিছু জানা নেই।” পাশাপাশি তিনি কলেজের ভেতরে বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য আটকানোর ব্যাপারে অসহায়তা প্রকাশ করে বলেন ” এমন নয় যে বহিরাগতরা ঢোকে না। আমরা বাধাও দিই। কিন্তু সবসময় বাধা মানে না। আমাদের অত ক্ষমতা নেই সব আটকে দিতে পারব।” এছাড়া তিনি জানিয়েছেন ভর্তির সময় এইধরনের কিছু সমস্যা তৈরি হয়। তাই এইধরনের সমস্যা আটকানোর জন্য তিনি পুলিশকে অন্তত ১৫ দিন কলেজের উপর লক্ষ্য রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানালেন।