SBN DIGITAL: সন্তানের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন, তাই দেওরের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুন! বিয়ের একমাস পরই বাপের বাড়িতে চলে যাওয়ার পরও বর্তমানে জ্যোৎস্না অন্তঃসত্ত্বা। তাই বাপের বাড়ি থেকে আসার আগেই পরিকল্পনা করে পুরুলিয়ার মানবাজারের ঘাসতোড়িয়ায় থাকা স্বামী গৌতম সিং সর্দারকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুরে ফেলে দেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। জেরায় এই কথা কবুল করেছে মৃতের ভাই উত্তম। নিশ্চিত হতে শিশুর পিতৃ পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্টের কথা ভাবছে পুলিশ। উত্তমকে জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে বিয়ের পর দাদা গৌতমের সঙ্গে জীবনযাপন করতে চায়নি জ্যোৎস্না। এই নিয়ে কলহ শুরু হয়। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বোরো থানার দূর্যয়পাড়ায় বাপেরবাড়িতে থাকা শুরু করে জ্যোৎস্না। স্বামীর সঙ্গে না থাকলেও দেওরের সঙ্গে নিরন্তর ফোনে যোগাযোগ হতো বউদির। বিয়ের ১১ মাস বাপের বাড়িতে কাটানোর পর গর্ভবতী ওই বধূ ফেরেন শ্বশুরবাড়িতে।
ধৃত জ্যোৎস্না ও উত্তম পুলিশকে জানান, রবিবার দুপুরে আগের দিনের রান্না করা মাংস ও মুড়ি খেয়ে ঘরের খাটিয়ায় ঘুমিয়ে ছিলেন গৌতম। সেই সময় জ্যোৎস্না গৌতমের দুটি হাত ধরে থাকে এবং দাদার গলায় দড়ির ফাঁস টেনে ধরে ভাই উত্তম। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মৃতদেহ চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় যাতে কারও সন্দেহ না হয়।
সন্তান কার? ফাঁসের আগেই দেওরের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে খুন স্ত্রীর
