SBN: বোমা তৈরির পর তা পরীক্ষা করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ডোমকলের যুবক চাঁদু শেখের। কিন্তু সেই সময় সে একা ছিল না। ছিল স্থানীয় কয়েকজন যুবক। পুলিশ তাদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ঘটনায় আগেই আটক স্থানীয় তিনজনকে বৃহস্পতিবার রাতে ছেড়ে দিলেও পরবর্তীতে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের শুক্রবার ফের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। এদিকে বোমা তৈরির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে রমনা শেখপাড়া এলাকায় বাসিন্দা রাইহান শেখকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার আদালতে তুললে বিচারক তাকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ডোমকলের রমনা শেখপাড়ার লেবুগাড়ার মাঠে বোমা ফেটে চাঁদু শেখ (২৭) ওরফে সফিকুলের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সাতজনের একটি দল জমায়েত হয়ে বোমা বাঁধছিল। আর তৈরি হওয়া বোমা ফাটিয়ে পরীক্ষা করতে যাচ্ছিল চাঁদু শেখ। ওই সময় পথে পা হড়কে পড়ে গেলে সকেট বোমাটি ফেটে গিয়ে চাঁদু শেখের শরীরের পিছন দিকটি গুরুতর জখম হয়। সঙ্গীরা কয়েকজন ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ডোমকলের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বহরমপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলা হয় তাকে। তখন তার বাবা মিন্নাত আলি তাঁর টোটোতে জখম ছেলেকে নিয়ে বহরমপুরের দিকে রওনা দেন। পথেই বাবার সামনে ছেলের মৃত্যু হয়। এদিকে ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বুধবার রাতেই চারজনকে আটক করেছিল। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে থেকে রাইহান শেখকে (২৭) গ্রেপ্তার করে ও বাকিদের ছেড়ে দেয়।
পুলিশ জানায়, বোমা বাঁধার জায়গায় মোট সাতজন ছিল। তাদের মধ্যে চাঁদু শেখ মৃত। বোমা বাঁধার দলের মধ্যে একমাত্র রাইহান শেখের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বাকি পাঁচজনের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ। তাদের ধরতে পারলেই বোমা বাঁধার আসল কারন জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।